রোমে অবস্থিত জাতিসংঘের বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের প্রেসিডেন্ট আলভারো ল্যারিও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ, ব্যয়ন এবং ব্যবহারে সর্বোচ্চ পারফরম্যান্সের জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। মিঃ ল্যারিও খাদ্য উৎপাদন, জলবায়ু-স্মার্ট এগ্রিকালচার এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে নারী ও যুবকদের অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জনের কথা উল্লেখ করেন এবং বিভিন্ন কর্মসূচী ও প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সক্ষমতার বিষয়টি উল্লেখ করেন। ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ মনিরুল ইসলাম কর্তৃক আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল-এর স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে ইফাদ প্রেসিডেন্ট গতকাল (০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪) উক্ত মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম ইফাদ-এর স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ এবং বাংলাদেশের অর্জন সম্পর্কে তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করার জন্য ইফাদ প্রেসিডেন্টকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। পঁয়তাল্লিশ বছরের অধিক সময় ধরে ইফাদ ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান এবং বাংলাদেশ ইফাদ-এর প্রথম সদস্য-রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে অন্যতম। রাষ্ট্রদূত ইফাদসহ অন্যান্য স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহে ইফাদ প্রেসিডেন্টের কাজ করার অভিজ্ঞতা ও গভীর জ্ঞানের প্রশংসা করেন যা সারা বিশ্বের গ্রামীণ জনগোষ্ঠী এবং প্রান্তিক অঞ্চলসমূহের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নয়নের বর্ণনার পাশাপাশি রাষ্ট্রদূত কৃষি খাতে বাংলাদেশের অসাধারণ অর্জনসমূহ তুলে ধরেন যা সারা বিশ্বে স্বীকৃত।
ইফাদ সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি "অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন"-এর ভিত্তিতে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং গ্রামীণ জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ইফাদ উভয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করে সমাপ্ত হয়। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি মোঃ আল আমিন, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) মিস আয়েশা আক্তার, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) মোঃ আশফাকুর রহমান এবং ইফাদ-র উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম
মুরসিদ (লিটু সিকদার)। মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৯৩৯৪৪৫