কনের বাড়ি থেকে বরের বাড়ির দূরত্ব মাত্র ১১ কিলোমিটার। হেঁটে যেতে সময় লাগে ৪৫ মিনিট। আর হেলিকপ্টারে চড়লে লাগে পাঁচ মিনিট। এতটুকু দূরত্বেই হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে গেলেন কুয়েত প্রবাসী আল আমিন। মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে দুই লাখ টাকা খরচ করে কনের বাড়ি গেলেন কুষ্টিয়ার এই যুবক। মাত্র পাঁচ মিনিটে একই উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গাংপাড়া খেলার মাঠে পৌঁছান তিনি। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নববধূকে নিয়ে আবার হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ গ্রামে ফিরে আসেন। এসময় বরের সঙ্গে ছিলেন বড় বোন ও বোনের স্বামী।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নের ডাবিরা ভিটার গ্রামে আসেন আল আমিন। বর আল আমিন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নের ডাবিরা ভিটা গ্রামের কুয়েত প্রবাসী আমিরুল ইসলামের দ্বিতীয় ছেলে। আর কনে তানজুরা খাতুন উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গাংপাড়া গ্রামের তাসের আলীর মেয়ে।
এমন আয়োজন বেশ উপভোগ করেছেন গ্রামবাসীরাও। তারা জানান, বরের বাড়ি থেকে কনের বাড়ির দূরত্ব মাত্র ১১ কিলোমিটার। এতটুকু রাস্তা হেঁটে যেতে সর্বোচ্চ ৪৫ মিনিট সময় লাগার কথা। কিন্তু বর এলেন হেলিকপ্টারে চড়ে। আর বিয়েতে বরযাত্রী গেছেন ১০০ জন। বরযাত্রীদের মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে করে কনের বাড়িতে পাঠানো হয়।
বরের বাবা আমিরুল ইসলাম জানান, তার স্ত্রীর শখ ছিল ছোট ছেলে আল আমিনকে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করাবেন। তার ইচ্ছা পূরণ করতেই এ আয়োজন।
বরের মা আমেনা খাতুন বলেন, শখ ছিল ছোট ছেলেকে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করতে পাঠাবো। ছেলের বউকে হেলিকপ্টারে আনবো। ছেলের বউকে হেলিকপ্টারে আনতে পারে অনেক খুশি আমি।
বর আল আমিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কুয়েতে চাকরি করছি। মায়ের শখ ছিল হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করতে যাব। মায়ের শখ পূরণ করতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।
পাটিকাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রেজভিজ্জামান কানু ও গোস্বামী দুর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান লাল্টু রহমান বলেন, এ অঞ্চলে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ের ঘটনা এটাই প্রথম। এ বিয়ে বেশ উপভোগ করেছেন দুই গ্রামের মানুষ।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম
মুরসিদ (লিটু সিকদার)। মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৯৩৯৪৪৫