৪৯ দিন বয়সী ছেলে শিশুর মৃতদেহ টিউবওয়েল পাড়ে রাখা পানি ভর্তি বালতি থেকে উদ্ধার করেছে স্বজনরা। মৃত শিশুটি ঘোষপুর ইউনিয়নের চরঘোষপুর গ্রামের মামুন মোল্যার ছেলে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারী) বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের চরঘোষপুর গ্রামের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রইস মোল্যার ৪৯ দিন বয়সের নাতি সাদির মৃতদেহ পানি ভর্তি বালতি থেকে উদ্ধার করা হয়। এ রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নানা গুঞ্জন ভেসে বেড়াচ্ছে। কে তাকে রেখে গেলো পানি ভরা বালতিতে। এখনো শিশুটি উপুড় হতে পারেনা। ঘর থেকে ১৫০ মিটার দূরের টিউবওয়েল পাড়ের বালতিতে শিশুটি কি করে গেলো। আর শিশুটিকে মারার কারণই বা কি? এ প্রশ্ন স্থানীয় লোকজনের।
মৃত শিশুটির দাদা রইস মোল্যা বলেন, আমার স্ত্রী নাতিকে গোসল করিয়ে ওর মায়ের কাছে ঘুম পাড়িয়ে ডোবরা মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বেলা এগারোটায় কাজ শেষ করে বাড়িতে ফিরে ছেলের বউকে ডাকাডাকি করি। সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে গিয়ে দেখি ছেলের স্ত্রীর পাশে নাতি নেই। পরে ছেলের স্ত্রীর কানে পানের বোটা দিয়ে খোচা মারলে, সে তখন চিৎকার দিয়ে উঠে বলছিল আমার ছেলেকে কে যেন নিয়ে গেছে। বলেই সে অজ্ঞান হয়ে পড়েছে।
তখন পাশের বাড়ির লোকজন নিয়ে নাতিকে খোঁজাখুঁজি করে টিউবওয়েল পাড়ে গিয়ে দেখা যায় পানি ভর্তি বালতির ভেতরে নাতির মাথা নিচে পা উপরের দিকে রয়েছে। এ সময় বালতির ভেতর থেকে একটি গেঞ্জি, বিছানার ছোট কাঁথা, ও কম্বল দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করি। এখন কিভাবে এটা হয়েছে, কে বা কারা এটা করেছে তা ছেলের স্ত্রী বলতে পারবে।
শিশুটির মা সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হয়নি। পরিবারের লোকজন এ বিষয়ে কোন প্রকার আইনি সহায়তা না নিয়ে জানাযা শেষে রাতে কাফন দাফন সম্পন্ন করেন।
রইস মোল্যার দুলা ভাই লোকমান মৃধা বলেন, কেউ ওই শিশুটাকে কাঁথা, কম্বল, ও তাঁর পরণে শীতের টুপি ও জ্যাকেট সহ তাকে বালতিতে কেউ না কেউ রেখে মেরে ফেলেছে। তবে এখন তার মা বলতে পারে কি ঘটেছিল।
ঘোষপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, মৃত শিশুর দাদা ফোন করে আমাকে জানান তার নাতি মারা গিয়েছে। ঘটনা স্থলে এসে বিস্তারিত শোনার পরে বিষয়টা মিলাতে পারছিনা কে তাকে মেরে ফেলছে। কেউ সঠিক ভাবে মৃত্যুর কথা বলতে পারছেনা।
বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শেখ সাদিক বলেন, বিষয়টা সম্পর্কে আমার জানা নেই, আপনার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানে হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী পরিবার আইনি সহযোগীতা চাইলে, তাদের সহযোগীতা করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম মুরসিদ (লিটু সিকদার) মোবাইল: 01728 311111