আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচন, দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ভোটের সমীকরনে যুক্ত হচ্ছে নতুন মাত্রা। ভোট যুদ্ধে লড়াই হবে দ্বিমুখী এমনটিই পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাই ভোটাররাও দু’ভাগে বিভক্ত বলা যায়। নির্বাচনে অগ্রগণ্য ওই দু’প্রার্থীকে নিয়েই হিসেব-নিকেশে বসেছেন ভোটাররা।
এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় নেতা-কর্মীরাও দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে প্রচারণায় নেমেছেন। তারা চালাচ্ছেন কৌশলী প্রচারণা। নৌকার কর্মী-সমর্থকরা বলছেন, দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা টাঙ্গাইল-৬ আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা তুলে দিয়েছেন বর্তমান এমপি আহসানুল ইসলাম টিটুর হাতে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নৌকা ও ঈগলের প্রচারণায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে ভোটের মাঠে। এখানে মূলত আওয়ামীলীগ বনাম আওয়ামী লীগের লড়াই। নৌকা সমর্থকদের প্রচারপত্র, লিফলেট ও সভা সমাবেশে দাবি, নাগরপুর-দেলদুয়ার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার এমপিও ভুক্তি, সরকারিকরণ, নান্দনিক ভবন, সুরমা ব্রিজসহ বহু ব্রীজ-কালভার্ট নির্মাণ, শতভাগ পল্লীবিদ্যুতায়ন, ট্রমা সেন্টারসহ স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন করবে।
অপরদিকে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী তারেক শামস খান হিমু সভা-সমাবেশে বলছেন, (নাগরপুর-দেলদুয়ার) এখনো কাংখিত অনেক উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। আমি ছিলাম আছি এবং আপনাদের পাশে থেকে এই নাগরপুর-দেলদুয়ার কে আরো উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর প্রশাসনের সতর্ক দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে টাংগাইল-৬ সংসদীয় আসনে স্বতন্ত্রসহ বিভিন্ন আট জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন।
প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আহসানুল ইসলাম টিটু (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী তারেক শামস খান হিমু (ঈগল), আবুল কাশেম জাতীয় পার্টি(লাঙ্গল),খন্দকার ওয়াহিদ মুরাদ (নোঙর), মোঃ আনোয়ার হোসাইন তরিকত ফেডারেশন(ফুলের মালা), ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম(ট্রাক)সহ মোট আট জন প্রার্থী রয়েছেন।
প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আট জন প্রার্থী হলেও প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন নৌকা ও ঈগলের প্রার্থী।
তবে, জাতীয় পার্টির টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাবেক এমপি আবুল কাশেম কে এবার টাঙ্গাইল-৬ আসনে মনোনয়ন দেয় জাতীয় পার্টি। তিনি নির্বাচনী মাঠের বিভিন্ন পাড়া- মহল্লা চষে বেড়াচ্ছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন ওয়ার্ড মেম্বারসহ আওয়ামীলীগের সদস্যবৃন্দ নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
নাগরপুরের সিনিয়র সাংবাদিক আমজাদ হেসেন রতন নির্বাচন নিয়ে বলেন, এবারের দ্বাদশ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। ভোটারের উপস্থিতি, সেটা প্রার্থীদের কর্মী এবং সমর্থকদের উপর নির্ভর করছে।