অপরদিকে অভিযোগ উঠার কিছু দিন পরে এই কর্মকর্তার পদোন্নতি হয়েছে। পদোন্নতি পেয়ে জামাল উদ্দিন মোল্লা বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা জেলার খামার বাড়িতে অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) পদে কর্মরত আছেন।
মন্ত্রণালয়ে করা লিখিত অভিযোগ ও খুলনা থানার মামলা সূত্রে জানা গেছে, জামাল উদ্দিন মোল্লা দীর্ঘ ৭ বছর ধরে গোপালগঞ্জ জেলা টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় কৃষি অফিসার থাকার সুবাদে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়ে যায়। শুধু নিজ গ্ৰামে কিনেছেন ৮ একর কৃষি জমি, এছাড়াও খুলনার নিরালার আবাসিক এলাকায় ৪৫ লক্ষ টাকায় কিনেছেন ফ্লাট। একই এলাকার ১নং রোড়ের দিঘিরপাড় এলাকায় এক কোটি টাকায় কিনেছেন আলিশান ফ্লাট। লবনচরা থানার ইসলামবাগ এলাকায় স্ত্রীর নামে কিনেছেন ৩০ লক্ষ টাকার জমি, পাশাপাশি ডুমুরিয়া বাজারের পাশে কিনেছেন প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার জমি। অবৈধ নদদ টাকা ও সম্পদের গরমে তিনি একাধিক ধর্ষন সহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন।
গোপালগঞ্জ জেলা কৃষি দপ্তরের উপপরিচালক আঃ কাদের সরদার বলেন, আমার জানা মতে টুঙ্গিপাড়ার সাবেক কৃষি অফিসার জামাল উদ্দিন মোল্লার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে অতিরিক্ত পরিচালক কে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। তদন্ত শেষ হওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এসকল অভিযোগের বিষয়ে কৃষি অফিসার জামাল উদ্দিন মোল্লা বলেন, আমি পারিবারিক কলহের কারনে ধর্ষন মামলা ও আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পড়ে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছি। বর্তমানে আমি ধর্ষন মামলায় জামিনে আছি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম
মুরসিদ (লিটু সিকদার)। মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৯৩৯৪৪৫