সোমবার চট্টগ্রাম বিভাগের আটজন ইউএনও’র কর্মস্থল পরিবর্তন করা হয়েছে। এর মধ্যে রাঙামাটি সদরের ইউএনও নাজমা বিনতে আমীনকে রায়পুরের লক্ষ্মীপুর উপজেলায়, লামা উপজেলার ইউএনও মোস্তফা জাবেদ কায়সারকে রাঙামাটি সদর উপজেলায়, রাজস্থলী উপজেলার ইউএনও শান্তুনু কুমার দাশকে লামা উপজেলায়, পানছড়ির ইউএনও রুবাইয়া আফরোজকে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার বিজয়নগরে, কক্সবাজরের পেকুয়ার ইউএনও পূর্বিতা চাকমাকে চাঁদপুরের হাইমচর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের ইউএনও এএইচ ইরফার উদ্দিন আহমেদকে রাঙামাটির রাজস্থলী, লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের ইউএনও অঞ্জন দাশকে খাগড়াছড়ির পানছড়ি এবং চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ইউএনও চাই থোলাইহলা চৌধুরীকে কক্সবজারের পেকুয়া উপজেলায় বদলি করা হয়েছে।
রংপুর বিভাগের দুটি উপজেলার ইউএনওকে বদলি করা হয়েছে। এর মধ্যে কুড়িগ্রামের সদর ইউএনও রাসেল হাসানকে পঞ্চগড়ের অটোয়া এবং পঞ্চগড়ের অটোয়ার ইউএনও মো. মুসফিকুল আলম হালিমকে কুড়িগ্রাম সদরে বদলি করা হয়েছে। পৃথক আদেশে রাজশাহী বিভাগের ছয় উপজেলার ইউএনও বদলি করা হয়েছে। এর মধ্যে নওগাঁর বদলগাছীর ইউএনও মোসা. আলপনা ইয়াসমিনকে পাবনার সাঁথিয়া, সাপাহার উপজেলার ইউএনও মো. আব্দুল্যাহ আল মামুনকে জয়পুরহাট সদর, জয়পুরহাট সদরের ইউএনও মো. আরাফাত হোসেনকে পাবনার ভাঙ্গুড়া, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ইউএনও তৃপ্তি কণা মন্ডলকে নওগাঁর বদলগাছী, ভাঙ্গুরার ইউএনও মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খানকে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ এবং পাবনার সাঁথিয়ার ইউএনও মো. মাকসুদ হোসেনকে নওগাঁর সাপাহারে বদলি করা হয়েছে।
সিলেট বিভাগে ছয়জন ইউএনওর কর্মস্থল পরিবর্তন করা হয়েছে। তার মধ্যে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার ইউএনও মহয়া শারমিন ফাতেমাকে সিলেটের ওসমানী নগর, ওসমানী নগরের ইউএন নীলিমা রায়হানকে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট, গোয়াইনঘাটের ইউএনও তাহমিলুর রহমানকে বাহুবল, চুনারুঘাটের ইউএনও সিদ্ধার্থ ভৌমিককে গোয়াইনঘাট, জগন্নাথপুর উপজেলার ইউএনও মো. সাজেদুল ইসলামকে জৈন্তাপুর এবং জৈন্তাপুর উপজেলার ইউএনও আল বশিরুল ইসলামকে জগন্নাথপুর উপজেলায় বদলি করা হয়েছে।
পৃথক আদেশে ময়মনসিংহ বিভাগের ছয়জন ইউএনওকে বদলি করা হয়েছে। তার মধ্যে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের ইউএনও হাফিজা জেসমিনকে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলায়, তারাকান্দার ইউএনও মিজাবে রহমতকে শেরপুর সদর, মোহনগঞ্জের ইউএনও ছাব্বির আহমেদ আকুঞ্জিকে ঈশ্বরগঞ্জ, জামালপুর সদরের ইউএনও লিটুস লরেন্স আকুঞ্জিকে নেত্রকোনার আটপাড়া, শেরপুর সদরের ইউএনও মেহনাজ ফেরদৌসকে জামালপুর সদর এবং নেত্রকোনার আটপাড়ার ইউএনও মো. শাকিল আহমেদকে ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বদলি করা হয়েছে।
পৃথক আদেশে খুলনা বিভাগের চার ইউএনওকে বদলি করা হয়েছে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ইউএনও শামীম ভূঁইয়াকে সাতক্ষীরা সদর, কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ইউএনও বিতান কুমার মন্ডলকে যশোরের ঝিকরগাছা, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ইউএনও ফাতেমা তুজ জোহরাকে চুয়াডাঙ্গা সদর এবং ঝিকরগাছার ইউএনও মো. মাহবুবুল হককে কুমারখালী উপজেলায় বদলি করা হয়েছে।
বরিশাল বিভাগে দুজন ইউএনওকে বদলি করা হয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল সদরের ইউএনও মনিরুজ্জামানকে পিরোজপুরের নেছারাবাদ এবং নেছারাবাদের ইউএনও মো. মাহবুব উল্লাহ মজুমদারকে বরিশাল সদরে বদলি করা হয়েছে।
ঢাকা বিভাগের ১৩ জন ইউএনওকে বদলি করা হয়েছে। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার ইউএনও মো. সাদিকুর রহমান সবুজকে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায়, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার ইউএনও বিএম কুদরত ই খুদাকে ফরিদপুরের ভাঙ্গায়, গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ইউএনও একেএম গোলাম মোর্শেদ খানকে ভৈরবে, কিশোরগঞ্জ সদরের ইউএনও মোহাম্মদ আলী সিদ্দিককে কাপাসিয়ায়, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার ইউএনও রোজলিন শহীদ চৌধুরীকে নরসিংদীর রায়পুরে, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার ইউএনও ফেরদৌস ওয়াহিদকে সাভার, ধামরাইয়ের ইউএনও হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকীকে কালিয়াকৈর, শ্রীপুরের ইউএনও মো. তরিকুল ইসলামকে কিশোরগঞ্জ সদর, কালিয়াকৈরের ইউএনও তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদকে ধামরাই, নরসিংদীর রায়পুরার ইউএনও মো. আজগর হোসেনকে পাকুন্দিয়া, সাভারের ইউএনও মো. মাজহারুল ইসলামকে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে, মধুপুরের ইউএনও শামীমা ইয়াসমিনকে গাজীপুরের শ্রীপুর এবং ফরিদপুরের ভাঙ্গার ইউএনও আজিম উদ্দিনকে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বদলি করা হয়েছে।
রদবদলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব আশোক কুমার দেবনাথ সোমবার সাংবাদিকদের জানান, ভোটের আগে পুলিশ ও প্রশাসনে ধারাবাহিক বদলির অংশ হিসাবে প্রাথমিকভাবে ৪৭ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। কোনো এক জেলায় দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে অন্য জেলায়। বর্তমান কর্মস্থলে এক বছরের বেশি সময় ধরে থাকা ইউএনও এবং ছয় মাসের বেশি সময় ধরে থাকা ওসিদের তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। ওসিদের তালিকা ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পাঠাতে বলা হলেও আরও তিন দিন সময় বাড়িয়ে ৮ ডিসেম্বর করা হয়েছে।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ আরও জানান, ২৭০ জন ইউএনও এক বছরের বেশি এবং ৩২০ জন ওসি ছয় মাসের বেশি বর্তমান কর্মস্থলে থাকতে পারেন বলে তারা মনে করছেন। এখন ৪৭ জন ইউএনওর তালিকা এসেছে। এই কর্মকর্তা জানান, চার নির্বাচন কমিশনার বিভিন্ন বিভাগ ও জেলায় গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে যে তথ্য পেয়েছেন, তার ভিত্তিতেই ওসি ও ইউএনওদের বদলি চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha