ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সড়ক প্রশস্তকরণের কাজে নিম্নমানসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, ঢাকা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্প (DDIRWSP)-এর আওতায় ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলাধীন বোয়ালমারী জিসি হতে মধুখালির বাগাট জিসি ভায়া গোহাইলবাড়ি জিসি পর্যন্ত ১২ কিমি সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণের কাজ করছে মেসার্স জাহিদ এণ্ড ব্রাদার্স এন্ড এমএই (জেভি) নামক ফরিদপুরের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
১৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে জিওবি-র অর্থায়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কাজ বাস্তবায়ন করছে। ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর কাজ শুরু হয়ে ২০২২ সালের ১৮ এপ্রিল ওই সড়কের প্রশস্তকরণের কাজ শেষ হওয়ার কথা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কে যে ম্যাকাডার্ম ব্যবহৃত হচ্ছে তা নিম্নমানের হওয়ায় রোলিং করার সময় গুড়ো হয়ে যাচ্ছে এবং কাজে নিম্নমানের বালু, ইট, খোয়া ব্যবহৃত হচ্ছে।
এছাড়া সড়কে কাজ চলায় ধূলাবালিতে চারিদিক একাকার হয়ে যায়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বারবার বললেও সড়কে পানি দেয়া হচ্ছে না। এর ফলে পথচারী ও আশেপাশের বাসিন্দাদের শ্বাসতন্ত্রের জটিলতা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে সড়ক প্রশস্তকরণের জন্য সড়কের পাশের ব্যক্তিগত জায়গা থেকে মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার ময়না ইউনিয়নের হাটখোলারচর গ্রামের আব্দুল গফফার শেখ ও মো. সাহিদুর রহমানের ব্যক্তিগত জায়গা থেকে মাটি কেটে সড়ক প্রশস্তকরণে ব্যবহার করা হয়েছে। জমির মালিকদের অভিযোগ সমতল ভূমি থেকে মাটি কাটার ফলে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বাধা দিলে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকেরা নিষেধ মানেনি।
এ ব্যাপারে মেসার্স জাহিদ এণ্ড ব্রাদার্স এন্ড এমএই (জেভি) নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক গৌতম কুমার সাহা বলেন, যাদের মাটি নেয়া হয়েছে তাদের অনুমতি নিয়েই নেয়ে হয়েছে। এই প্রজেক্টে নিম্নমানের কোন নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের সুযোগ নাই। সড়কে পানি না দেয়া প্রসঙ্গে বলেন, পানি না দিলে আমারই ক্ষতি।
এ ব্যাপারে জানতে বোয়ালমারী উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের মোবাইলে (০১৭১১২০৯৯২৯) শুক্রবার ৩ঃ০৪ মিনিটে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।