ঋতুস্রাবের দিনগুলোতে নারীদের শারীরিক অস্বস্তি কিছুতেই যেন পিছু ছাড়তে চায় না! কখনও অত্যধিক রক্তচাপ শুরু হয়, কখনও আবার পেটে অসহ্যকর যন্ত্রণায় অবস্থা বেহাল। ঋতুস্রাবের ব্যথা মূলত তলপেটে হয় এবং ধীরে ধীরে সেটা হাঁটু পর্যন্ত ছড়াতে থাকে। কারও কারও ক্ষেত্রে তো ভীষণ রকম ব্যথা হয়। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন তারা। প্রতিদিনের কিছু অভ্যাস ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা আরও বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু বেশ কয়েকটি অভ্যাস পরিহার করলে মিলতে পারে স্বস্তি। জেনে নিন কোন অভ্যাসগুলো এড়িযে চলবেন-
ভাজা বা লবণাক্ত খাবার
ঋতুস্রাবের সময়ে ভাজা বা লবণাক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। এমনিতেই ঋতুস্রাবের সময়ে শরীর বেশ ভারী লাগে। তার ওপর এই সব খেলে শরীরে পানি জমতে পারে। অস্বস্তি আরও বেড়ে যেতে পারে।
ভারী শরীরচর্চা নয়
ঋতুস্রাবের দিনগুলোতে শরীরচর্চা বন্ধ রাখা যাবে না, তবে ভারী শরীরচর্চাও করা যাবে না। শরীরচর্চা বন্ধ করলে ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। মাসের ওই ক’দিনও হালকা শরীরচর্চা করার অভ্যাস তৈরি করুন। এই অভ্যাসের ফলে ঋতুস্রাবজনিত ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন। তবে ভারী ব্যায়াম নয়, এই সময় হালকা ওয়ার্মআপ, কার্ডিয়ো কিংবা যোগাসনের মতো হালকা শরীরচর্চা করতে পারেন।
রাত জাগা যাবে না
রাত জাগার অভ্যাস আছে? ঋতুস্রাবের দিনগুলোতে কিন্তু মোটেই রাত জাগা উচিত নয়। একটু আগেই শুয়ে পড়ুন। এতে শরীরের ক্লান্তি আর ঋতুস্রাবজনিত অস্বস্তি কমবে।
মিষ্টি কম খাবেন
ঋতুস্রাবের সময় খুব বেশি মিষ্টি খাবেন না। অতিরিক্ত চিনি খেলে এই সময় যন্ত্রণা বাড়তে পারে। খুব মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলে ড্রাই ফ্রুট্স খেতে পারেন।
দুগ্ধজাত খাবার না খাওয়া
ঋতুস্রাবের সময়ে খুব বেশি দই, দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার না খাওয়াই ভালো। এর ফলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বাড়ে। এমনকি, কোষ্ঠকাঠিন্যও দেখা দিতে পারে। ধূমপানের অভ্যাস থাকলে এই সময়ে না করাই শ্রেয়।