হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের আরেকটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
মঙ্গলবার এক সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন সিআইডির অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে নাশকতার ঘটনার মামলায় মামুনুল হককে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হতে পারে।
সিআইডি প্রধান জানান, ২০১৬ সালের পাঁচটি মামলা ও সাম্প্রতিক সময়ের ১৮টি মামলাসহ মোট ২৩টি মামলার তদন্ত করবে সিআইডি। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তদন্ত শেষ করব এবং যারা এখনও আইনের আওতায় আসেনি তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করব।
এই ২৩টি মামলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১৫, কিশোরগঞ্জে দুই, চট্টগ্রামে দুই, মুন্সিগঞ্জে দুটি রয়েছে। এর মধ্যে ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় পাঁচটি মামলা এবং চলতি বছরে মামলা হয়েছে ১০টি।
মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, এসব মামলার প্রাথমিক তদন্তে তিন ধরনের লোকের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। যারা উপস্থিত থাকছে, অনুপস্থিত থাকলেও ইন্ধন দিয়েছে, আর যারা সরাসরি হামলা ও নাশকতায় জড়িয়েছে। মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করব।’
এসব মামলায় মামুনুল হকের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে তার সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। তিনি একটি মামলায় রিমান্ডে আছেন। সেটি শেষ হলে আমরা রিমান্ডে আনবো।
কোন মামলায় তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে- প্রশ্ন করা হলে সিআইডি প্রধান বলেন, প্রাথমিকভাবে নারায়ণগঞ্জের দুটি মামলায় তার (মামুনুল হক) ইনভলভমেন্ট পাওয়া গেছে। সব মামলা স্টাডি করছি। যদি অন্য কোনো মামলাতেও তার ইনভলভমেন্ট থাকে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত রোববার নাশকতার একটি মামলায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করা হয়।
পরদিন সোমবার আদালতে হাজির করা হলে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
মামুনুল হক বেশ কয়েকদিন ধরে আলোচনায় আছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় ২৬ মার্চ সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এছাড়া ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টে মাওলানা মামুনুল হক নারীসহ ঘেরাও হন। তাকে ছাড়িয়ে নিতে হেফাজতের কর্মীরা সেদিন রিসোর্ট ভাঙচুর করে। ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় তিনটি মামলা হয়েছে। এর একটিতে মামুনুল হককে আসামি করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha