কৃষকের ভরা মওসুমে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় মেইন সেচ প্রকল্প গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) পাম্প ইলেকট্রিক্যাল যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ৫ দিন যাবত বন্ধ রয়েছে।
গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের মোট তিনটি পাম্পের মধ্যে আগে দুইটি পাম্প বন্ধ ছিল। এর মধ্যে একটি পাম্প সচল থাকলেও সেইটির পিএলসি পাওয়ার সার্কুলেশন ইউনিট ভোল্টেজ বেশি হওয়ার কারণে চলন্ত পাম্প নষ্ট হয়ে বন্ধ হয়ে যায়।
জিকে সেচ প্রকল্পের পাম্পের ইলেকট্রিক্যাল শর্টসার্কিট হয়ে যাওয়ায় পাম্প মেশিনের পিএলসি সুইচ পুড়ে গেছে। এই কারণে শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে হঠাৎ করে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ভরা মওসুমে ক্ষেতে সেচের পানির অভাবে ফসল নষ্ট হওয়ার আশংকায় কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
উল্লেখ্য,দেশের বৃহত্তম মেইন সেচ প্রকল্প গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের আওতায় কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরাসহ ১৩টি উপজেলায় মোট ৪ লাখ ৮৮ হাজার একর জমি রয়েছে। আমন চাষসহ অন্যান্য ফসলের আবাদ চলছে। আবাদি জমিতে বৃষ্টি কম হওয়ায় রোদে ফসল নষ্ট হচ্ছে। সেচের পানির অভাবে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের তিনটি পাম্পের মধ্যে আগে দুইটি পাম্প বন্ধ ছিল। এর মধ্যে একটি সচল থাকলেও আবার সেটি ইলেকট্রিক্যাল সার্কিট নষ্ট হওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে।
কৃষক নেতা বুলবুল কবীর বলেন, আমন চাষের জন্য ভরা মৌসুমে গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প থেকে পানি পাচ্ছি না। সেচ পাম্প মালিকদের কাছ থেকে বাড়তি খরচে কিনতে হচ্ছে পানি। ক্যানেলে পানি থাকতে ধান লাগিয়েছি এখন দেখছি পানি নাই। পানির অভাবে ধানসহ বিভিন্ন ফসল সবজি নষ্ট হচ্ছে। আমন ধানের লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, পাম্পের পিএলসি পাওয়ার সার্কুলেশন ইউনিট ভোল্টেজ বেশি হওয়ার কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। গত ১৭-০৯-২০২৩ ইং তারিখ হতে পাম্প বন্ধ রয়েছে। খুব শীঘ্রই এটা মেরামত করতে সক্ষম হবো। পিএলসি সুইচ জাপানের হওয়াতে বাংলাদেশে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। তাই চায়না অথবা কোরিয়া থেকে আমদানি করতে হবে। আশা রাখি খুব তাড়াতাড়ি পিএলসি সুইচ আমাদের হাতে চলে আসবে। আবার সেচ পাম্প চালু করা সম্ভাব হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম
মুরসিদ, মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।