আজকের তারিখ : নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ৮:৩৯ এ.এম || প্রকাশকাল : সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩, ৭:১৩ পি.এম
আমতলীতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ
বরগুনার আমতলীর ঐতিহ্যবাহি গাজীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকও অফিস সহকারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে প্রতিকার চেয়ে লিখিত আবেদন করেছেন প্রধান শিক্ষকের শুন্যে পদে আবেদন কারী মো. মনিরুল ইসলাম।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়,গত ২৮/১২/২০২১ খ্রি. তারিখ গাজীপুর বন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃক প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে নিয়োগের জন্য দৈনিক যায় যায় দিন পত্রিকায় একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ঐবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী মোঃ মনিরুল ইসলামসহ ১২/১৩ জন ২ হাজার টাকার ব্যাংক ড্রাফটসহ আবেদন করেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবেদনগুলোর কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই। অভিযোগকারী বিশ্বস্ত সুত্রে জানতে পারেন গত ১০/০৪/২০২৩ খ্রি. তারিখ দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় সহকারী প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদে এবং ২৭/০৪/২০২৩ খ্রি.তারিখ দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। গোপনীয় ভাবে নাম মাত্র প্রার্থীদের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করিয়ে পছন্দের প্রার্থীদের টাকার বিনিময় প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রদানের লক্ষ্যে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন প্রায় সম্পন্ন করেছেন।
উল্লেখ্য ইতি পূর্বে ২০০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট এর বিনিময়ে যারা আবেদন করেছে নতুন বিজ্ঞপ্তিতে তাদের কথা উল্লেখ না করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়াও নতুন বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি (২য় বার)/পুন: নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির উল্লেখ নাই। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে পুরাতন বিজ্ঞপ্তির আলোকে যারা আবেদন করেছে তাদের কথা উল্লেখ না করে গোপনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে টাকার বিনিময় প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া চালাইতেছে।
এঘটনায় অভিযোগকারী মরিুল ইসলাম গাজীপুর বন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতিকে গত ১৬/০৮/২০২৩ খ্রি. তারিখ তার মুঠোফোনে কল দিয়ে পুন:রায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সে তা জানাতে অস্বীকার করেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক ও অস্বীকার করেন।
এছাড়া ও উক্ত বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির বিরুদ্ধে দেওয়ানী আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আঃ খালেক যিনি জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে তৃতীয়। উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ শাহীন মো, আঃ খালেক মিয়াকে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক দেখাইয়া হাই কোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করে। সেই আদেশকে ভুল বুঝাইয়া বোর্ড চেয়ারম্যানকে ম্যানেজ করে আঃ খালেককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেন। আঃ খালেক মিয়া শারিরীক ভাবে অসুস্থ্য বিধায় সহকারী শিক্ষক মোঃ শাহীন অফিসের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসিতেছে এবং শাহীন নিজের স্বার্থ আদায়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার নিমিত্তে গোপনে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশসহ যাবতীয় কূট কৌশল অবলম্বন করে আসছে।
অভিযোগ কারী মনিরুল ইসলাম পুন:রায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পূর্বের আবেদনকারী সহ সকল আবেদনকারীদের অবহিত করে সকলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় তাহার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এব্যাপারে স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. শাহিন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বিকার করেন।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক ২৮.১২.২১ সালের প্রধান শিক্ষকের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তির কথা স্বিকার করলেও পরের বিজ্ঞপ্তিগুলো কে দিয়েছে তা তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন।
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. আব্দুর রব বলেন, প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত কোন বিজ্ঞপ্তির বিষয় আমি জানিনা । এবিষয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানেন।
বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মাদ জসিম উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, অভিযোগের তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha