নদীতীরবর্তী গ্রামবাসীরা জানান, এক সময় নদীতে পর্যাপ্ত পানি প্রবাহ ছিল। তা দিয়ে নিয়মিত চাষাবাদ করার পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করা হতো। অনেকে নদীর পানি পানও করত। কিন্তু দীর্ঘদিন খনন না করায় নদীর তলদেশে পলি ও বালু জমে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে জেগে উঠেছে বিশাল চর। অনেকে আবার নদীর এসব জমি ভরাট করে বসতবাড়ি গড়ে তুলেছেন। পানির অভাবে নদীতে মাছের বিচরণ ক্ষেত্র কমে যাওয়ায় তেমন মাছও পাওয়া যায় না। ফলে বেকার হয়ে পড়েছেন উপজেলার সহস্রাধিক জেলে পরিবারের অসংখ্য খেটে খাওয়া মানুষ। বাধ্য হয়েই মৎস্যজীবীরা পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন।
পরেশ মাঝি নামে স্থানীয় এক জেলে বলেন, নদীর পানি কমে যাওয়ায় আর আগের মতো মাছ পাওয়া যায় না। তবুও বাপ-দাদার পেশা ধরে রেখে পরিবার-পরিজন নিয়ে কোনোমতে বেঁচে আছি।
স্থানীয় কৃষক জলিল শেখ বলেন, নদীতে চর পড়ায় আমরা পৈতৃক সম্পত্তি ফিরে পেয়ে চাষাবাদ করে ভালো আছি।
মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সরোয়ার জাহান বলেন, নবগঙ্গা নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনতে খননকাজের জন্য ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। আমরা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দের চিঠিও পেয়েছি। ধানকাটা শেষে হলেই খননকাজ শুরু হবে।
মাগুরা-১ আসনের এমপি সাইফুজ্জামান শিখর ও মাগুরা-২ আসনের এমপি বীরেন শিকদার বলেন, নবগঙ্গা নদী খননের জন্য আমরা জাতীয় সংসদে কথা বলেছি। মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দও পাওয়া গেছে। শিগগিরই খননকাজ শুরু হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha