ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফর: রহনপুর -সিঙ্গাবাদ রুট দিয়ে ত্রিদেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর দাবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখনই ভারত সফরকে কেন্দ্র করে দু’দেশের জনসাধারণ আশায় বুক বাঁধছেন রহনপুর -সিঙ্গাবাদ রুট দিয়ে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর বিষয়ে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকে ঘিরে এবার স্বপ্ন দেখছে রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ।

 

সাথে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দারাও। তাদের সাথে রয়েছে রাজশাহী অঞ্চলের মানুষের আত্মিক সম্পর্ক। তারা এ রুট দিয়ে যেকোন একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের দাবি জানিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।এরই অংশ হিসেবে আবারও এ অঞ্চলের মানুষের প্রানের দাবী বাস্তবায়নে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে রেলমন্ত্রীর নিকট এ দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে রহনপুর রেলবন্দর বাস্তবায়ন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

 

রহনপুর রেলবন্দর বাস্তবায়ন পরিষদের আহবায়ক নাজমুল হুদা খান রুবেল জানান, ব্রিটিশ সরকার ১৯১৭ সালে রহনপুর থেকে ভারত রেল যোগাযোগ স্থাপন করে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের আগ পর্যন্ত এ রুটে ট্রেন চলাচল করেছে। ১৯৬৫ সালে পাক- ভারত যুদ্ধের পর রুটটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২৫ বছর পর ১৯৯০ সালে রুটটি পুনরায় চালু হয়। যা এখনো অব্যাহত আছে। এখন এ রুট দিয়ে বাংলাদেশ -ভারত -নেপাল পন্য পরিবহন হয়ে থাকে। আগে এ রুট দিয়ে ভারতে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করতো। এই বন্দর দিয়ে প্রায় প্রতিদিন ভারত থেকে পন্য পরিবহন হয়ে থাকে । রহনপুর থেকে রেলপথে ভারতের দূরত্ব মাত্র ১০ কিমিঃ। ভারত -নেপাল সীমান্তবর্তী স্টেশন রক্সাল ও যোগবানী স্টেশনের দূরুত্ব অনেক কম।

 

এছাড়া এ রুটটি ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়েতে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। ভারত ও নেপালের রাষ্ট্রদূত এই রেলপথ পরিদর্শন করে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। বর্তমানে রহনপুর থেকে ভারত হয়ে নেপাল রেল ট্রানজিট চালু রয়েছে। এর ফলে ভারতের বিহার রাজ্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সাথে নেপালের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। এর আগে রাজশাহী সদর আসেনর সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনও এরুট দিয়ে রাজশাহী থেকে রহনপুর- সিঙ্গাবাদ- মালদহ হয়ে কলকাতা ( বাংলাদেশ -ভারত) যাত্রীবাহী মৈত্রী ট্রেন চলাচল চালু করার আবেদন করেছেন।

 

 

এ রুট দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হলে তিন দেশের পর্যটনের নতুন দিগন্তের সুচনা হবে। এছাড়া বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী স্টেশন রহনপুর ও ভারতের সীমান্তবর্তী স্টেশন সিঙ্গাবাদে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস অফিস নির্মাণে যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। সীমান্তের ওপারের সংসদ সদস্য শ্রী খগেন মুর্মু এ বিষয়ে তার সরকারের নিকট দাবি জানিয়েছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। এদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমান রেলমন্ত্রীর নিকট প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরের আলচ্যসুচীতে বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করার আবেদন জানিয়েছি। এ বিষয়ে এলাকার জাতীয় সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমান জানান, রহনপুর -সিঙ্গাবাদ রুট দিয়ে বাংলাদেশ -ভারত -নেপালের মধ্যে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল চালু করার দাবি সম্বলিত একটি আবেদন আমি পেয়েছি। এ বিষয়ে রেলমন্ত্রীকে একটি ডিও লেটার প্রদান করা হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

লালপুরে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সরল আটক

error: Content is protected !!

প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফর: রহনপুর -সিঙ্গাবাদ রুট দিয়ে ত্রিদেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর দাবি

আপডেট টাইম : ০৫:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩
মোঃ আবদুস সালাম তালুকদার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখনই ভারত সফরকে কেন্দ্র করে দু’দেশের জনসাধারণ আশায় বুক বাঁধছেন রহনপুর -সিঙ্গাবাদ রুট দিয়ে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর বিষয়ে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকে ঘিরে এবার স্বপ্ন দেখছে রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ।

 

সাথে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দারাও। তাদের সাথে রয়েছে রাজশাহী অঞ্চলের মানুষের আত্মিক সম্পর্ক। তারা এ রুট দিয়ে যেকোন একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের দাবি জানিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।এরই অংশ হিসেবে আবারও এ অঞ্চলের মানুষের প্রানের দাবী বাস্তবায়নে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে রেলমন্ত্রীর নিকট এ দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে রহনপুর রেলবন্দর বাস্তবায়ন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

 

রহনপুর রেলবন্দর বাস্তবায়ন পরিষদের আহবায়ক নাজমুল হুদা খান রুবেল জানান, ব্রিটিশ সরকার ১৯১৭ সালে রহনপুর থেকে ভারত রেল যোগাযোগ স্থাপন করে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের আগ পর্যন্ত এ রুটে ট্রেন চলাচল করেছে। ১৯৬৫ সালে পাক- ভারত যুদ্ধের পর রুটটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২৫ বছর পর ১৯৯০ সালে রুটটি পুনরায় চালু হয়। যা এখনো অব্যাহত আছে। এখন এ রুট দিয়ে বাংলাদেশ -ভারত -নেপাল পন্য পরিবহন হয়ে থাকে। আগে এ রুট দিয়ে ভারতে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করতো। এই বন্দর দিয়ে প্রায় প্রতিদিন ভারত থেকে পন্য পরিবহন হয়ে থাকে । রহনপুর থেকে রেলপথে ভারতের দূরত্ব মাত্র ১০ কিমিঃ। ভারত -নেপাল সীমান্তবর্তী স্টেশন রক্সাল ও যোগবানী স্টেশনের দূরুত্ব অনেক কম।

 

এছাড়া এ রুটটি ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়েতে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। ভারত ও নেপালের রাষ্ট্রদূত এই রেলপথ পরিদর্শন করে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। বর্তমানে রহনপুর থেকে ভারত হয়ে নেপাল রেল ট্রানজিট চালু রয়েছে। এর ফলে ভারতের বিহার রাজ্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সাথে নেপালের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। এর আগে রাজশাহী সদর আসেনর সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনও এরুট দিয়ে রাজশাহী থেকে রহনপুর- সিঙ্গাবাদ- মালদহ হয়ে কলকাতা ( বাংলাদেশ -ভারত) যাত্রীবাহী মৈত্রী ট্রেন চলাচল চালু করার আবেদন করেছেন।

 

 

এ রুট দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হলে তিন দেশের পর্যটনের নতুন দিগন্তের সুচনা হবে। এছাড়া বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী স্টেশন রহনপুর ও ভারতের সীমান্তবর্তী স্টেশন সিঙ্গাবাদে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস অফিস নির্মাণে যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। সীমান্তের ওপারের সংসদ সদস্য শ্রী খগেন মুর্মু এ বিষয়ে তার সরকারের নিকট দাবি জানিয়েছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। এদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমান রেলমন্ত্রীর নিকট প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরের আলচ্যসুচীতে বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করার আবেদন জানিয়েছি। এ বিষয়ে এলাকার জাতীয় সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমান জানান, রহনপুর -সিঙ্গাবাদ রুট দিয়ে বাংলাদেশ -ভারত -নেপালের মধ্যে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল চালু করার দাবি সম্বলিত একটি আবেদন আমি পেয়েছি। এ বিষয়ে রেলমন্ত্রীকে একটি ডিও লেটার প্রদান করা হবে।


প্রিন্ট