শষ্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত নওগাঁর আত্রাই উপজেলা। এ উপজেলার মানুষ কৃষি নির্ভর। আত্রাই উপজেলার উৎপাদিত কৃষি পণ্য ধান, পাঠ, সরিষা, গম, ভুট্টা এবং শাক সবজিসহ নানা ফসল এ উপজেলার চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করে আসছে।
এ বছর অনাবৃষ্টির কারণে ও প্রচন্ড তাপদাহের ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। অন্য দিকে এ উপজেলার কৃষি জমি শুকিয়ে যাচ্ছে। বিকল্প হিসেবে স্হানিয় কৃষকরা বিভিন্ন এলাকায় গভীর নলকূপের পানি দিয়ে জমি চাষ করতে ব্যাস্থ হয়ে উঠেছে। চলতি মৌসুমে আত্রাই উপজেলায় ৯৬০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কিন্তু গত কয়েক মাস বৃষ্টি পাত কম হওয়ায় ও প্রচন্ড তাপদাহের কারণে মাঠের জমি শুকিয়ে গেছে। এ কারণে উপজেলার কৃষকরা সময় মত আমন ধানের চারা বপন করতে পারছে না ফলে শালো মেশিন ও গভীর নলকূপ দিয়ে পানি সেচ দিয়ে অনেক কৃষক ধানের চারা বপন করলেও প্রায় ৪০০০ হেক্টর জমিতে পানির অভাবে আমন ধানের চারা বপন করতে পারবেন না এলাকার কৃষকরা।
এই কারণে জমি গুলে অনাভাদি হিসেবে পরে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। সরজমিনে আহসানগঞ্জ ইউনিয়নের বজ্রপুর গ্রামের কৃষক আলাউদ্দিন, মিঠু, মিজানুর, বাবু ও আউব আালী বলেন, এবছর কমবৃষ্টির কারণে ও প্রচন্ড তাপদাহে আমাদের জমি শুকিয়ে গেছে। আমরা জমিতে হাল চাষ করতে পারছি না। এছাড়া ও বীজতলার ধানের চারা পুরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। উপজেলার মির্জাপুর, ভবাণীপুর, মাগুরা পারা, ও হাতিয়া পারা গ্রামের কৃষক লবিরুদ্দিন, আবুল, ইবরাহীম, মান্নান।
কালিকাপুর ইউনিয়নের হরপুর গ্রামের মজ্জেম ও রশিদ বলেন, আমরা খুব দুশ্চিন্তায় আছি। বর্ষাকালে পর্যন্ত পরিমান বৃষ্টি হলেও এবছর শ্রাবণ মাস প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে এখন বৃষ্টি পাত হচ্ছে না এ কারণে আমাদের জমি গুলো শুকনো রয়েছে। বৃষ্টি না হলে আমাদের জমি গুলোতে আমন চারা রপন করা যাবে না।
এ ব্যাপারে আত্রাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ তাপস কুমার বলেন, এ উপজেলায় ৯৬০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের লক্ষ মাত্রা রয়েছে। সময় মত বৃষ্টি পাত না হওয়ায় এবং আবহাওয়া ভালো থাকায় কারণে ৪০০০ হেক্টর জমিতে কৃষকরা আমন চারা রপন করতে পারছে না। চারার বয়স বেশি হলে ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha