ফরিদপুরের সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফিরোজ খান রাজের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বালিয়া গট্টি বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ফিরোজ খান গট্টি ইউনিয়নের আগুলদিয়া গ্রামের মমরেজ খানের ছেলে। হামলার ঘটনায় একই কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল জবিউল্লাহকে দায়ী করেছেন আহত ওই ছাত্রলীগ সভাপতি। জবিউল্লাহ গট্টি ইউনিয়নের বড় বালিয়া গ্রামের মনির মোল্লার ছেলে।
এ ব্যাপারে ফিরোজ খান রাজ বলেন, আমি গতকাল সন্ধ্যায় বালিয়া বাজারে গিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়ান ভাইয়ের জন্য ধান ক্রয় করতে গিয়েছিলাম। ধান ক্রয় শেষে ইজিবাইকে ধান উঠানোর পরে ঝালমুড়ির দোকানে ঝালমুড়ির অর্ডার দিয়ে ফ্লেক্সিলোডের দোকানে বিকাশ নম্বর থেকে টাকা বের করতে গেলে হঠাৎ পিছন থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল জবিউল্লাহসহ ১৫ থেকে ২০জন আমার উপর অতর্কিত হামলা করে এবং এলোপাথাড়ি ভাবে কিল, ঘুষি, থাপ্পর মারে। এসময় স্থানীয় লোকজন তাদেরকে প্রতিহত করে। তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে ফরিদপুর -২ আসনের মাননীয় এমপি মহোদয়ের নির্দেশে স্থানীয়ভাবে সালিশ দরবারের মাধ্যমে মীমাংসা করা হবে বলে আশ্বাস পেয়েছি।
অভিযুক্ত ইসমাইল জবিউল্লাহ এর পিতা মনির মোল্লা বলেন, আমার ছেলের এইচএসসি পরীক্ষার সময় রাজ একটি অঘটন ঘটিয়েছিল এজন্য গতকাল এই ঘটনা ঘটেছে বলে আমি জানতে পেরেছি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানান, সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের মধ্যে দুটি গ্রুপ বিদ্যমান। ছাত্রলীগের সভাপতি রায়মোহন রায় (বহিষ্কৃত) এর সমর্থিত কিছু ছাত্রলীগ নেতাকর্মী অপর গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফিরোজ খান রাজকে মানতে না পেরে উক্ত ঘটনা ঘটায় বলে জানা যায়।
সালথা থানার চার্য অফিসার এসআই সৈয়দ আওলাদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম মুরসিদ (লিটু সিকদার) মোবাইল: 01728 311111