জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনতে সবার আগে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। একাত্তরের মতো যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের রূখে দিতে হবে এবং ভোট কেন্দ্রে সাধারণ ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
শনিবার (২২ জুলাই) বিকেলে পাবনার সুজানগরের সাতবাড়িয়া কলেজ মাঠে 'আহমেদ তফিজ উদ্দিন ও ফিরোজা বেগম স্মারক গ্রন্থ' সূচনা এবং 'দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ' প্রেক্ষিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা।
আহমেদ তফিজ উদ্দিন টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট ও আহমেদ তফিজ উদ্দিন-ফিরোজা বেগম ফাউন্ডেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বক্তারা বলেন, যদি আমরা অপশক্তির কাছে হেরে যাই বা পরাজিত হই তাহলে কি পরিস্থিতি হতে পারে তা অনুমান করছেন। এ জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী বিএনপি-জামায়াতের অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে। শেখ হাসিনার হাতে শক্তিশালী করতে হবে এবং নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে।
তারা বলেন, শেখ হাসিনা যখন ২০০৮ সালের নির্বাচনে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছিলেন তখন অনেকেই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছিলেন কিন্তু শেখ হাসিনা সেই বাস্তবায়ন করে দেখিয়ে দিয়েছেন। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনা আবার স্মার্ট বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা আবার বিজয়ী হয়ে সেই স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করবেন।
বিএনপি-জামায়াতের অত্যাচারের চিত্র তুলে ধরে বক্তারা বলেন, এখনকার অনেকেই জানে না বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় থাকতে মানুষকে কিভাবে নির্যাতন করার হয়েছিল। সেই বিএনপি-জামায়াতের অত্যাচারের কথা স্মরণ করতে হবে। ২৪ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে সারা বিশ্বে সমালোচিত করেছিল। আমরা অন্ধকারে ফিরে যেতে চাই না। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের রোল মোডেল করেছেন। সারা পৃথিবীর মানুষ আজ বাংলাদেশ নিয়ে গবেষণা করছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আছেন বলেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। পদ্মা সেতু হয়েছে এবং শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় আসলে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু হবে। আপনাদের প্রতিক্ষিত ওয়াই সিস্টেমে সেতু হবে ইনশাআল্লাহ।
পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আহমেদ ফিরোজ কবিরের সভাপতিত্বে ও সুজানগর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ফেরদৌস আলম ফিরোজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি বাহাদুর ব্যাপারী, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি লিয়াকত সিকদার, সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী, সুজানগর উপজেলার চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন, আমিনপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউসুফ আলী খান প্রমুখ।