কুষ্টিয়ায় ছোবল খেয়ে বিষাক্ত রাসেল ভাইপার সাপ মেরে ব্যাগে ভরে নিয়ে নিজেই হাসপাতালে জাহিদুল ইসলাম রাজা নামে এক ব্যবসায়ী।
জাহিদুল গড়াই নদে শখের বসে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। একপর্যায়ে নদের পাশে বালুচরে অস্থায়ী টং ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ তার ডান পায়ে কিছু একটা কামড় দেয়। লাইট জ্বালিয়ে দেখতে পান ছোট্ট একটি কালো রঙের সাপ। দেখতে পেয়ে লাঠি দিয়ে তিনি সাপটিকে মেরে ফেলেন।
সাপটি মেরে একটি ব্যাগে ভরে সোজা ছুটে আসেন ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসক সাপটিকে বিষধর রাসেল ভাইপার বলে শনাক্ত করেন।
মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার জুগিয়া বটতলা এলাকায় গড়াই নদের পাড়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি হন জাহিদুল ইসলাম ওরফে রাজা। রাজা কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জুগিয়া হাটপাড়ায় এলাকায় সামছুল আলমের ছেলে। বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বুধবার দুপুরে জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, জাল নিয়ে রাতে মাছ ধরতে বাড়ির পাশের গড়াই নদে যান। একপর্যায়ে টং ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এ সময় তার ডান পায়ে কিছু একটা কামড় দেয়। লাইট জ্বালিয়ে দেখতে পান ছোট একটি কালো রঙের সাপ। লাঠি দিয়ে তিনি সাপটিকে মেরে ফেলেন। এরপর নিজেই নিজের পা বেঁধে ফেলেন। পরে লোকজনকে ডেকে সাপটা ব্যাগে ভরে সোজা হাসপাতালে ছুটে আসেন।
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আরএমও) তাপস কুমার সরকার জানান, কামড় দেওয়া রাসেল ভাইপার সাপটি খুবই ছোট। তবে এর পেট বেশ ফোলা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে- ছোবল দেওয়ার আগে কিছু খেয়েছিল সাপটি। এজন্য হয়তো বিষ নাও থাকতে পারে। তারপরও জাহিদুলকে ভ্যাকসিন (অ্যান্টি ভেনম) দেওয়া হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম
মুরসিদ, মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।