কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদীতে প্রতিদিন হুহু করে বাড়ছে পানি। ১৫জুলাই শনিবার পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ৯ দশমিক ৫৬ মিটার। প্রতিদিন পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে ১২ সেন্টিমিটার করে। পানি বেড়ে যাওয়ায় পদ্মার কুলে জমি ও ফসল তলিয়ে গেছে।
পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উত্তরাঞ্চল পানি পরিমাপক বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী (ভেড়ামারা সেকশন) এর দায়িত্বরত কর্মকর্তা ইলিয়াস হোসেন জানান, গত ১জুলাই,৬ দশমিক ৮৬ মিটার। ২জুলাই,৬ দশমিক ৮৩ মিটার। ৩জুলাই,৭ দশমিক ০৯ মিটার। ৪জুলাই,৭ দশমিক ৫৩ মিটার। ৫জুলাই,৭দশমিক ৭২ মিটার। ৬জুলাই,৭ দশমিক ৯৫ মিটার। ৭জুলাই,৮ দশমিক ৩২ মিটার। ৮জুলাই, ৮ দশমিক ৬২ মিটার। ৯জুলাই,৮ দশমিক ৯৮মিটার। ১০জুলাই,৯ দশমিক ১৪ মিটার। ১১জুলাই,৯ দশমিক ২৫ মিটার। ১২জুলাই,৯ দশমিক ৩০ মিটার। ১৩জুলাই,৯ দশমিক ৩২ মিটার। ১৪জুলাই,৯ দশমিক ৩৮ মিটার। ১৫জুলাই,৯ দশমিক ৫৬ মিটার পানি রেকর্ড করা হয়। পদ্মার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির বিপদ সীমা ১৩ দশমিক ৮০ মিটার বলে জানান তিনি।
পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গ্রেজ রিডার হারিসুন নাঈম ইবনে সালাম বলেন, প্রতিদিনই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির উচ্চতা ১২ সেন্টিমিটার করে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উত্তরাঞ্চল পানি পরিমাপক বিভাগ ও পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করিম জানান, সাতদিন পর পর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়। গত সোমবার ৩জুলাই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে সর্বশেষ পানি পরিমাপ রেকর্ড করা হয় ১ লাখ ৯৮ হাজার ০১১ কিউসেক। ১০জুলাই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে সর্বশেষ পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৩লাখ ৬০ হাজার কিউসেক। গত সাত দিনের ব্যবধানে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ২লাখ ৩৮ হাজার কিউসেক। পদ্মায় যেভাবে পানি বাড়ছে তাতে বর্ষায় বিপদসীমার কাছাকাছি গিয়ে ঠেকতে পারে।
এদিকে পদ্মায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকার অসংখ্য কৃষকের আবাদ করা ফসল এরই মধ্যে তলিয়ে গেছে। ভেড়ামারা চর গোলাপনগর এলাকার চরে আবাদ করা বেশির ভাগ বাদামক্ষেত, পাটসহ অন্যান্য ফসল এখন পানির নিচে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ১৫টি স্প্যানের মধ্যে ১৩টির নিচেই এখন স্রোত প্রবাহিত হচ্ছে। পানিতে ভরে গেছে ভেড়ামারা-পাকশী পদ্মানদীর দুই কূল।
ভেড়ামারা উপজেলা কৃষি অফিসার শায়খুল ইসলাম জানান, এ মৌসুমে পদ্মার চরাঞ্চলে বিভিন্ন ফসলের আবাদ হয়েছে প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে। নদীতে অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকার আবাদি ফসল তলিয়ে যাচ্ছে।
চর গোলাপনগর গ্রামের কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, চরে আমার তিন বিঘা জমির ফসল পুরোটাই এখন পানিতে থই থই করছে। কৃষক জমির উদ্দীন বলেন, এ বছর পদ্মার পানিতে চরের ৫ বিঘা জমিতে মাষকলাই চাষ করেছিলেন। ফলনও ভালো হয়েছিল। কিন্তু পদ্মার পানি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় সব ফসল তলিয়ে গেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha