ফরিদপুরের বেশ কয়েকটি স্থানে এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আওয়ামী লীগ নেতা এ. কে. আজাদের পোস্টার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় জিডি করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও উঠেছে নিন্দার ঝড়।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও ফরিদপুর সদর আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী এ.কে. আজাদের ভাগ্নে ফারুকুজ্জামান লিয়ন এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মঙ্গলবার বিকেলে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
সেখানে উল্লেখ করা হয়, ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রিরচর, নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ৬ এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ড এবং আলিয়াবাদ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডসহ গেরদা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে গত রাতে বিভিন্ন সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবিসহ ফরিদপুর -৩ আসনের সম্ভাব্য এমপি পদপ্রার্থী জনাব এ. কে. আজাদের ছবি সম্বলিত বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন কে বা কারা ছিড়ে ফেলে ও খুলে ফেলে দেয়।
ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টুর ধারণা ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু ফকিরের লোকজনই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ওই ইউনিয়নের সিএনবি ঘাট সংলগ্ন আইজউদ্দিন মাতব্বরের ডাংগী গ্রামের মনোয়ার হোসেন বলেন, কয়েকটি স্থান থেকে রাতের বেলা আবু ফকিরের লোকজন এ.কে আজাদের কয়েকটি ফেস্টুন খুলে নিয়ে যায়।
পার্শ্ববর্তী নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের গোলডাঙ্গীর বাসিন্দা আফসার হোসেন বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জেল হোসেনের ভাগ্নে রায়হান ও তার সহযোগীরা পোস্টারগুলো ছিড়েছে বলে স্থানীয়দের ধারণা।
এব্যাপারে ফরিদপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নুসরাত রসুল তানিয়া বলেন, রাজনীতি মানে কি মানুষ কে অসম্মান করা? রাজনীতিতে গ্রুপিং থাকবেই কিন্তু কোন সম্মানিত ব্যক্তির ব্যানার ছেড়া বা নষ্ট করা কি কোন রাজনৈতিক শিস্টাচারের মধ্যে পড়ে ? এ. কে. আজাদ চাচাকে অসম্মানিত করার জন্য কিন্তু তারা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর ছবিও ছিড়ছেন ,তারা কিভাবে আওয়ামীলীগের সৈনিক হতে পারেন ? আমরা অনেক সময় অন্যের ক্ষতি করতে যেয়ে নিজের ক্ষতি করে ফেলি ।ফরিদপুরবাসী এতো বোকা না যে এ. কে. আজাদের ছবি দেখতে না পেরে তাকে
ভুলে যাবেন । তিনি তার কাজের মাধ্যমে মানুষের মনে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন আজীবন ।
আওয়ামী মোটর শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি জামালউদ্দীন কানু বলেন, যারা ফরিদপুরের গর্ব, কৃতি সন্তান এ.কে আজাদ ভাইয়ের পোস্টার ব্যানার ছেড়া ছেড়ি করছেন, সাহস থাকলে সামনে দাঁড়িয়ে ছেড়েন। এই সকল হামলাকারী ও পরের সম্পদ অনিষ্টকারী ব্যাক্তিদের ধিক্কার ও ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাই। আজাদ সাহেবের পোস্টারের সাথে জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ছবি ছেড়ার সাহস কোথায় পায় এরা। এদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী বাবস্থা গ্রহণ করার দাবি করছি। না হলে ফরিদপুরে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে আওয়ামী মোটর শ্রমিক লীগ ফরিদপুর জেলা শাখা।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিল সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি আমাদের নলেজে আসার পর থেকে প্রত্যেকটি স্পটে পুলিশ পাঠানো হয়েছে । আমরা অপরাধীদেরকে স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়ে শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম মুরসিদ (লিটু সিকদার) মোবাইল: 01728 311111