এফিডিভিট করে বিয়ের পর মিন্টু আলী নামের একজনকে গ্রেপ্তারসহ তরুনিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার(১১-৭-২০২৩) অপহরণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। একই সাথে ভিকটিমকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়।
আগের দিন সোমবার (১০-৭-২০২৩) রাতে বাঘা উপজেলার বঙ্গবন্ধু চত্বর এলাকার সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে তরুনিকে উদ্ধার ও মিন্টু আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানায়, মিন্টু আলী লালপুর উপজেলার পাইকপাড়া(হালুডাঙা) গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। তরুণি একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার(১১-৭-২০২৩) তরুনির বাবা বাদি হয়ে মিন্টু আলীকে প্রধান আসামী করে বাঘা থানায় অপহরণের অভিযোগে মামলা করেন।
জানা যায়,গত রোববার(৯-৭-২০২৩) দুপুরে বাঘা উপজেলার জোতরাঘব গ্রামের খালার বাড়ি থেকে অটোভ্যানে নিজ বাড়িতে ফিরছিল ওই তরুনি। এসময় বন্ধুদের সহায়তায় ভ্যান থামিয়ে তরুণিকে মাইক্রোতে তুলে নিয়ে যায় মিন্টু আলী। পরের দিন সোমবার রাজশাহীর নোটারি পাবলিকের একজন এ্যাডভোকেটের মাধ্যমে এফিডিভিট করে বিয়ে করেন। তাতে ২লাখ ৫০ হাজার ১টাকা মোহরানা ধার্য করা হয়েছে। জন্ম তারিখ হিসেবে তরণির বয়স ধরা হযেছে ১৮ বছর ৪মাস ৯দিন।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মিন্টু আলী দাবি করেন,আগে তরুনির বোনের মাধ্যমে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। পরিবার রাজি না হওয়ায় তরুনির সাথে কথা বলে তাকে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছেন। তরুণি জানায়,তার মা-বাবার কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে তাদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়নি। তবে বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেনি তরুণি।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আব্দুল করিম বলেন,সোমবার রাতে বাড়িতে ফেরার জন্য সিএনজি স্ট্যান্ডে ঘোরাফেরা করছিল। অভিযোগ পেয়ে সেখান থেকে মিন্টু আলীকে গ্রেপ্তার করে তরুনিকে উদ্ধার করেছেন। পরে তরণির বাবা আলা উদ্দীন বাদি হয়ে মিন্টু আলীকে প্রধান আসামী করে অপহরণের মামলা করেছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ (লিটু সিকদার), মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha