রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার হাবাসপুর চরপাড়া গ্রামের মাঠে পাটক্ষেত নিড়ানি দিচ্ছিলেন জাহিদ প্রামাণিক নামে এক কৃষক। এ সময় তার ডান হাতের আঙুলে কিছু একটা কামড় দেয়। কামড় দেওয়া অংশে জ্বালাপোড়া করতে থাকে।
এরপর তিনি সেখানে গায়ে ডোরাকাটা রংয়ের একটি সাপ দেখতে পান। দেখেই জাহিদ সাপটিকে মেরে ফেলেন। পরে সেটি সঙ্গে নিয়েই চলে যান স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানকার চিকিৎসক সাপটিকে বিষধর রাসেল ভাইপার বলে শনাক্ত করেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
সোমবার সকাল ৮টার দিকে রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার হাবাসপুর চরপাড়া গ্রামের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। পরে বেলা ১১টার দিকে জাহিদকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। কৃষক জাহিদ প্রামাণিক পাংশা উপজেলার হাবাসপুর চরপাড়া গ্রামের মাদু প্রামাণিকের ছেলে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার জানান, সাপটি আকারে খুবই ছোট। সাপটির পেট বেশ ফোলা। ধারণা করা হচ্ছে- ছোবল দেওয়ার আগে সাপটি কিছু খেয়েছিল। এজন্য হয়তো বিষ নাও থাকতে পারে। তবে রাসেল ভাইপার একটি বিষধর সাপ। রোগীকে ভ্যাকসিন (অ্যান্টি ভেনম) দেওয়া হয়েছে। এখন তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। জাহিদ প্রামাণিকের বাড়ি থেকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার। পাংশা থেকে তিনি বাসে করে কুষ্টিয়া আসেন। বেলা ১১টায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে পলিথিনের ভেতর মরা সাপটি ছিল।
জাহিদ প্রামাণিক বলেন, কাজ করার সময় সাপে কামড় দিয়েছিল। এ সময় সাপটিকে মারা হয়। হাতের আঙুলের মধ্যে জ্বালা করছিল। মরা সাপ সঙ্গে নিয়ে পাংশা হাসপাতালে যাই। সেখান থেকে কুষ্টিয়া পাঠায়। সাপটিকে এখনো সঙ্গেই রেখে দিয়েছি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha