দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা। মাত্র একদিন বাকি তবে এই সময়েও ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার কাপুড় পট্টি মার্কেটে ক্রেতাদের জন্য হা-হুতাশ করছে বিক্রেতারা। বস্ত্র ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সাধারণত কোরবানির ঈদে তেমন বেচাকেনা হয় না। তবে অন্যান্য বছর যেমন বিক্রি করেন, এবার তার সিকিভাগ হচ্ছে না। গতকাল মঙ্গলাবার আলফাডাঙ্গা কাপুড় পট্টি মার্কেটগুলোতে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
গত ঈদুল ফিতরে বেচাবিক্রি ভালো থাকায় এবারও বস্ত্র ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের পছন্দ অনুযায়ী নানা ধরনের পোশাক বিক্রি করার জন্য সাজিয়ে রেখেছেন। সাধারণত অন্যান্য বছর ঈদের ১৫ দিন আগেই বেচাকেনা শুরু হয়।তবে এবার চিত্র ভিন্ন। অনেকটা অলস সময় পার করছেন বিক্রেতারা। সরেজমিনে কাপুড় মার্কেটে ক্রেতা না থাকায় পোশাক ব্যবসায়ী ও কর্মীদের নিয়ে গল্পগুজব করে সময় পার করতে দেখা যায়। আবার কেউ কেউ মোবাইল ফোনে গেম খেলে বা গান শুনে সময় কাটাচ্ছেন।
আলফাডাঙ্গা সদর বাজারের বধুয়া বস্ত্রলায়ের মালিক প্রবীর কুন্ডু বলেন, গত রোজার ঈদে পোশাকের ব্যবসা ভালো হয়েছে। কোরবানি ঈদে ব্যবসা আগের মতো হবে না। সেটা জানি তবে এ বছরের চিত্র সম্পন্ন ভিন্ন। সাধারণ সময়ের চেয়ে বেচাবিক্রি কম।
জয়শ্রী শপিং ওয়াল্ডের মালিক বাসুদের কুন্ডু জানান, সকাল ৯ টা থেকে দোকান খুলে বসে আছি এখন বেলা ১১ টা বেজে গেছে এখনও দোকানে তেমন কেনাকাটা শুরু হয়নি। এক দিন পরেই ঈদ আমরা এবার খুব হতাশ মার্কেটের বেচাকেনার অবস্থা ভালো না। মানুষ ছুটছেন গরুর হাটে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যেবৃদ্ধির জন্য কাপুুড়ের ব্যবসায় ধস নেমেছে। প্রয়োজনের বাহিরে শখ করে কেউ কিছু কিনতে চাচ্ছে না।
রাজিব গার্মেন্টেসের স্বত্ত্বাধিকারী রাজিব ইসলাম বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ লাগার পর চাল, ডাল, গম থেকে শুরু করে সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। মানুুষ সংসার চালাতেই হিমশিম খাচ্ছে। আর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ব্যবসায়।
মার্কেটের একাধিক বস্ত্র ব্যবসায়ীরা বলেন, কোরবানির ঈদে সবার নজর থাকে পশুর হাটের দিকে। এ সময় নতুন পোশাক বিক্রি কম হয়। এবার বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। ফলে খরচের লাগাম টানতে বেশিরভাগ মানুষই হিমশিম খাচ্ছে।
আলফাডাঙ্গা সদর মার্কেটে কাপুড় কিনতে এসেছেন আম্বিয়া বেগম বলেন, ঈদের সময় ভিড় লেগেই থাকে এবারই দেখলাম পোশাকের দোকানে তেমন ভিড় নেই। তাই ইচ্ছে মতো দোকান দোকানে ঘুরে পরিবারের জন্য তাদের পছন্দের পোশাক কিনেছে। গত ঈদের তুলনায় দাম কম মনে হচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম
মুরসিদ, মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।