ঢাকা , রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ঘুষে ফায়ার লাইসেন্স, ভুয়া বিলের কারসাজি Logo চরভদ্রাসনে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ওয়ালিদ হোসাইন গ্রেপ্তার Logo চরভদ্রাসনে ১৬৫ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার Logo রূপগঞ্জে বিদেশী পিস্তল, গুলি ও নগদ টাকা উদ্ধার Logo তারেক রহমান ও বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে রূপগঞ্জে যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল Logo কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল ফুটবল টুর্নামেন্টে জয়ী ওরা ১১জন মাগুরা Logo হাতিয়ায় রাতে আড্ডা দেওয়া চার শিক্ষার্থীকে ডেকে নিয়ে পড়তে বসালেন ইউএনও Logo শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে মধ্যরাতে ইবি বিশ্ববিদ্যালয় হলে হলে বিক্ষোভ, আজ সারা দিনে উত্তাল ক্যাম্পাস Logo রংপুরে সিও বাজারে এলপিজি গ্যাস পাম্পে ভয়াবহ বিস্ফোরণঃ নিহত ১, বহু আহত Logo ফরিদপুরে ড্যাব এর চিকিৎসকদের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে শুদ্ধাচারে শ্রেষ্ঠ ইউএনও হলেন আসমা খাতুন

সরকারি সেবা প্রদানে শুদ্ধাচার চর্চা ও কর্মদক্ষতার ওপর ভিত্তি করে স্বীকৃতিস্বরূপ বছর অনুযায়ী শুদ্ধাচার পুরস্কার দিয়ে থাকে জেলা প্রশাসন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে শুদ্ধাচার পুরষ্কার পেয়েছেন জেলা প্রশাসনের ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারী।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, সততা, কর্তব্যজ্ঞান, দায়িত্বশীলতা, কর্মদক্ষতা ও জনসাধারণকে সেবা প্রদানসহ অন্যান্য মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করেই দেওয়া হয়ে থাকে শুদ্ধাচার পুরষ্কার।

সোমবার (২৬ জুন) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বছরব্যাপী শুদ্ধাচারে পুরষ্কারে মনোনীতদের মাঝে ক্রেস্ট, সনদপত্র তুলে দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাপ্রশাসক একেএম গালিভ খান।

জেলা প্রশাসনের এবারের শুদ্ধাচারে নারী কর্মকর্তা হিসাবে একজন শুদ্ধাচার পুরষ্কারে মনোনীত হয়েছেন গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আসমা খাতুন। শুদ্ধাচারে পুরস্কৃত হয়ে তাঁর অনুভূতি জানতে চাইলে ইউএনও আসমা খাতুন বলেন, যেকোনো পুরস্কারই অনুপ্রেরণা যোগায়। আমার কাজের জীবনের শুরু থেকেই আমি আন্তরিকভাবে কাজ করার চেষ্টা করে আসছি। অনেক ক্যাটাগরির (মানদণ্ড) ওপর ভিত্তি করেই শুদ্ধাচার পুরস্কার দেওয়া হয়। উপজেলা পর্যায় থেকে জেলা পর্যায়ে মনোনীতদের বাছাই করা হয়। আমি শুদ্ধাচার পেয়ে অনেক আনন্দিত হয়েছি। আমি মনে করি আমার কাজের দায়িত্ব আরও কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাপ্রশাসক একেএম গালিভ খান শুদ্ধাচার পুরস্কৃতদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, উপজেলা ও জেলা পর্যায় মিলে ছয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এবছর শুদ্ধাচার পুরস্কৃত করা হয়েছে। পুরস্কৃতরা সকলেই ক্রেস্ট, সনদপত্রের পাশাপাশি এক বেসিক সম-পরিমাণ নগদ অর্থ সম্মানী পাবেন।

 

মনোনীতদের নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলাপ্রশাসক বলেন, শুদ্ধাচারে মনোনীতদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন নীতিমালা রয়েছে। প্রথমে উপজেলা থেকে জেলা পর্যায়ে তালিকা আসে, এরপর জেলা পর্যায়ে কমিটির মাধ্যমে বাছাই করা হয়ে থাকে। মনোনীতরা সকলেই নিজের যোগ্যতা, দক্ষতা ও নৈতিক মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগেও যারা নির্বাচিত হয়েছেন সকলেই মানদণ্ডের ভিত্তিতে শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন।

 

 

বিশিষ্টজনরা বলছেন, পুরস্কার দায়িত্বশীলদের কাজের প্রতি মনোনিবেশে আরো গুরুত্ব বাড়িয়ে দেয়। জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও জনগণের সেবায় আরও দৃঢ় ভূমিকা রাখতে এই শুদ্ধাচার পুরস্কার অবশ্যই আন্তরিক প্রেরণা যোগাবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ঘুষে ফায়ার লাইসেন্স, ভুয়া বিলের কারসাজি

error: Content is protected !!

চাঁপাইনবাবগঞ্জে শুদ্ধাচারে শ্রেষ্ঠ ইউএনও হলেন আসমা খাতুন

আপডেট টাইম : ০৮:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুন ২০২৩
মোঃ আবদুস সালাম তালুকদার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :

সরকারি সেবা প্রদানে শুদ্ধাচার চর্চা ও কর্মদক্ষতার ওপর ভিত্তি করে স্বীকৃতিস্বরূপ বছর অনুযায়ী শুদ্ধাচার পুরস্কার দিয়ে থাকে জেলা প্রশাসন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে শুদ্ধাচার পুরষ্কার পেয়েছেন জেলা প্রশাসনের ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারী।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, সততা, কর্তব্যজ্ঞান, দায়িত্বশীলতা, কর্মদক্ষতা ও জনসাধারণকে সেবা প্রদানসহ অন্যান্য মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করেই দেওয়া হয়ে থাকে শুদ্ধাচার পুরষ্কার।

সোমবার (২৬ জুন) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বছরব্যাপী শুদ্ধাচারে পুরষ্কারে মনোনীতদের মাঝে ক্রেস্ট, সনদপত্র তুলে দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাপ্রশাসক একেএম গালিভ খান।

জেলা প্রশাসনের এবারের শুদ্ধাচারে নারী কর্মকর্তা হিসাবে একজন শুদ্ধাচার পুরষ্কারে মনোনীত হয়েছেন গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আসমা খাতুন। শুদ্ধাচারে পুরস্কৃত হয়ে তাঁর অনুভূতি জানতে চাইলে ইউএনও আসমা খাতুন বলেন, যেকোনো পুরস্কারই অনুপ্রেরণা যোগায়। আমার কাজের জীবনের শুরু থেকেই আমি আন্তরিকভাবে কাজ করার চেষ্টা করে আসছি। অনেক ক্যাটাগরির (মানদণ্ড) ওপর ভিত্তি করেই শুদ্ধাচার পুরস্কার দেওয়া হয়। উপজেলা পর্যায় থেকে জেলা পর্যায়ে মনোনীতদের বাছাই করা হয়। আমি শুদ্ধাচার পেয়ে অনেক আনন্দিত হয়েছি। আমি মনে করি আমার কাজের দায়িত্ব আরও কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাপ্রশাসক একেএম গালিভ খান শুদ্ধাচার পুরস্কৃতদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, উপজেলা ও জেলা পর্যায় মিলে ছয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এবছর শুদ্ধাচার পুরস্কৃত করা হয়েছে। পুরস্কৃতরা সকলেই ক্রেস্ট, সনদপত্রের পাশাপাশি এক বেসিক সম-পরিমাণ নগদ অর্থ সম্মানী পাবেন।

 

মনোনীতদের নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলাপ্রশাসক বলেন, শুদ্ধাচারে মনোনীতদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন নীতিমালা রয়েছে। প্রথমে উপজেলা থেকে জেলা পর্যায়ে তালিকা আসে, এরপর জেলা পর্যায়ে কমিটির মাধ্যমে বাছাই করা হয়ে থাকে। মনোনীতরা সকলেই নিজের যোগ্যতা, দক্ষতা ও নৈতিক মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগেও যারা নির্বাচিত হয়েছেন সকলেই মানদণ্ডের ভিত্তিতে শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন।

 

 

বিশিষ্টজনরা বলছেন, পুরস্কার দায়িত্বশীলদের কাজের প্রতি মনোনিবেশে আরো গুরুত্ব বাড়িয়ে দেয়। জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও জনগণের সেবায় আরও দৃঢ় ভূমিকা রাখতে এই শুদ্ধাচার পুরস্কার অবশ্যই আন্তরিক প্রেরণা যোগাবে।


প্রিন্ট