আজকের তারিখ : এপ্রিল ২১, ২০২৫, ১২:১৬ এ.এম || প্রকাশকাল : জুন ২২, ২০২৩, ২:৩৯ পি.এম
সন্ধান মিললে ডুবোযানটির কাছে পৌঁছতে লাগবে কয়েক ঘণ্টা

সময় আর অক্সিজেন দুটিই দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। এই অবস্থায় নিখোঁজ ডুবোযানটির সন্ধান শেষ পর্যন্ত পেলেও, তার কাছে পৌঁছতে লেগে যাবে কয়েক ঘণ্টা। টাইটান সাবমার্সিবলের (ডুবোযান) নিখোঁজ যাত্রীদের জন্য মাত্র কয়েক ঘণ্টার অক্সিজেনই অবশিষ্ট আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গভীর সমুদ্র অভিযাত্রী ডেভিড গ্যালো বিশ্বাস করেন, টাইটানে (ডুবোযান) আটকে পড়াদের উদ্ধার করতে একটি অলৌকিক ঘটনার প্রয়োজন।
তবে তিনি আশাবাদী।তিনি একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, পানির নিচ থেকে আওয়াজগুলো ‘বিশ্বাসযোগ্য এবং পুনরাবৃত্তিযোগ্য’, যার অর্থ হলো- হয়তো ডুবোযানটি থেকেই আওয়াজ আসছে। উদ্ধারকারীদের তাই দ্রুত শনাক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের ধরে নিতে হবে যে শব্দ সেই ডুবোযান থেকেই আসছে।
দ্রুত ওই স্থানে যেতে হবে এবং শনাক্ত করতে হবে। সাবমেরিনটি কোথায় রয়েছে তা যাচাই করার জন্য সেখানে রোবট নামাতে হবে। উদ্ধারকারীদের সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত হতে হবে। যাতে দ্রুত শনাক্ত করে ওপরে তুলে আনা যায় এবং সেটি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই।
এই কঠিন সময়টিতে তল্লাশি অভিযানটি আরো প্রসারিত করা হয়েছে। অনুসন্ধানের কাজে যোগ দিয়েছে, বিমান, জাহাজ সেই সঙ্গে দূরবর্তী সমুদ্রে চালিত যানগুলো। প্রায় ১০ হাজার বর্গমাইল সমুদ্রজুড়ে খোঁজা হচ্ছে ডুবোযানটিকে। অনুসন্ধানে নতুন আওয়াজও শোনা যাচ্ছে, তবে সেগুলো কোথা থেকে আসছে তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে ইউএস কোস্ট গার্ড।ধারণা করা হচ্ছে, স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যেই নিখোঁজ সেই সাবমেরিনের মজুদ অক্সিজেন শেষ হয়ে যাবে।
পূর্ববর্তী অনুমানের ওপর ভিত্তি করে ১০ ঘণ্টারও কম অক্সিজেন অবশিষ্ট ছিল বলে ধারণা করা হয়েছিল।এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলরক্ষী বাহিনী টুইট করে জানিয়েছিল, মঙ্গলবার রাতে পানির নিচে শব্দ শোনা গেছে। কানাডার একটি পি-৩ বিমান অনুসন্ধান এলাকায় সাগরের পানিতে বিশেষ যন্ত্র নিক্ষেপ করে ওই শব্দ শনাক্ত করেছে। সিএনএন ও রোলিং স্টোন সাময়িকী পৃথকভাবে জানায়, কয়েক ঘণ্টা ধরে আধা ঘণ্টা পর পর শব্দটি শোনা যায়। সাধারণত এভাবে বিপৎসংকেত দেওয়া হয়।
মার্কিন কোস্ট গার্ড বাহিনীর কমান্ডার বলেছেন, ডুবোযানের ভেতরের অক্সিজেন ঠিক কখন শেষ হবে তা নির্ভর করবে কতটা অক্সিজেন ব্যবহৃত হচ্ছে তার ওপর। টাইটানের কোনো পাইপে যেকোনো মুহূর্তে ফাটল ধরে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র : বিবিসি
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম
মুরসিদ, মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
Copyright © August 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha