কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের চৌধুরী বাজার যাওয়ার রাস্তার ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষকে মারাত্মক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ভাঙা এ ব্রিজের ওপর দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। যেকোনো সময় ভাঙা ব্রিজটিতে বড় রকমের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ছয় বছর আগে বন্যায় সোনাহাট ছড়ার (বিল) উপর নির্মিত চৌধুরী বাজার ব্রিজের উত্তর প্রান্তের পিলার ভেঙে দেবে যায়। তারপর থেকে দেবে যাওয়া ব্রিজের ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে বঙ্গসোনাহাট ও বলদিয়া ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করছেন। কিছুদিন আগে এ ব্রিজে এক অটোরিকশাচালক মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।
অটোরিকশা চালক ফরহাদ হোসেন বলেন প্রতিদিন যাতায়াতের সময় ব্রিজে এসে যাত্রি নামিয়ে দিয়ে রিস্ক নিয়ে ব্রিজ পাড় হতে হয়, অনেক সময় অটো উলটে যাওয়ার উপক্রম হয়। যদি দ্রুত সময়ে ব্রিজটি সংস্কার করা হয় তাহলে আমাদের ভোগান্তি কম হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম, আবু হাসেম, ইউনুস আলি, আবুল কালাম প্রমুখ বলেন, বন্যায় ব্রিজের উত্তর প্রান্ত কয়েক ফুট দেবে গিয়ে নিচু হয়ে গেছে। এতে ব্রিজের মাঝমাঝি স্থান থেকে অন্যপ্রান্ত উঁচু হয়ে রয়েছে। নিচু প্রান্ত থেকে ব্রিজে উঠতে গিয়ে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা ঘটছে।
বঙ্গবন্ধু দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শিক্ষক আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজের ওপর দিয়ে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করে।
সোনাহাট ইউনিয়ন কৃষকলীগ সভাপতি আলী আহাম্মদ বলেন ব্রিজ ভাঙ্গার ৬ বছর পার হলেও হচ্ছেনা কোন সংস্কার, দিনের পর দিন ব্রিজ দিয়ে চলাচলের অনেক কষ্ট হয়, বিশেষ করে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা চালকদের। বিভিন্ন সময়ে দূর্ঘটনার সীকার হচ্ছে অনেকে।
বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মায়নুল ইসলাম লিটন বলেন, চৌধুরী বাজার যাওয়ার ব্রিজটির একপাশ ভেঙে গিয়ে অনেকদিন যাবত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এতে এলাকাবাসীকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এখানে দ্রুত একটি ব্রিজ নির্মাণ করা প্রয়োজন।
উপজেলা প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ বলেন, চৌধুরী বাজার ব্রিজটি নির্মাণের জন্য তালিকা ভুক্ত করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশাকরি দ্রুত ব্রিজ নির্মাণ করা সম্ভব হবে।