সম্মেলনের প্রায় ৯ মাস পর মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত ১৯ মে শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর মুকসুদপুর আইডিয়াল স্কুল (কেজি স্কুল) মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে রবিউল আলম শিকদারকে সভাপতি ও সাইদুর রহমান টুটুলকে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
নবগঠিত মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান টুটুল, পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে সময়ের প্রত্যাশাকে বলেন, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ জেলা কমিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন।
নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে শ্যামল কান্তি বোস, সিরাজুল ইসলাম, হুজ্জাত হোসেন লিটুসহ নয়জনকে সহ সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছে।
৭১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে ৩২জন নতুন মুখ স্থান পেয়েছেন। এছাড়া এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে খুব একটা সম্পৃক্ত নন, রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন বড় বড় শহরে স্থায়ীভাবে ব্যবসা করেন এবং বিত্তশালী এমন ২০ জনকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। খুলনা, যশোর, চট্টগ্রাম, সিলেট ও গোপালগঞ্জ থাকেন এমন ব্যক্তিরাও উপজেলা কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জহির হাসান টিটুকে রাখা হয়েছে কৃষি বিষয়ক সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সরদার মজিবর রহমান উপজেলা আওয়ামীলীগে সদস্য হিসাবে স্থান করে নিয়েছেন। উপজেলা সদরের মুকসুদপুর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের চারটি ওয়ার্ড থেকে কাউকে না রাখলেও পৌরসভার ১১জনকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জন একই গ্রামের বাসিন্দা।
নতুন কমিটিতে যারা স্থান পেয়েছেন মোঃ রবিউল আলম শিকদার সভাপতি, মোঃ সাইদুর রহমান টুটুল, সাধারণ সম্পাদক। শ্যামল কান্তি বোস, মোঃ সিরাজুল ইসলাম মিয়া, হুজ্জাত হোসেন লিটু, মোঃ দেলোয়ার হোসেন মোল্যা, তাপসী রানী বিশ্বাস, সন্তোষ কুমার সাহা, অধীর কুমার সাহা, এস,এম জাহিদুর রহমান, মফিজুর রহমান ফরিদ মুন্সী কে সহ-সভাপতি হিসাবে স্থান পেয়েছেন। যুগ্ম সম্পাদক হয়েছেন এম.এম. মহিউদ্দন আহাম্মেদ মুক্তু, মুহাম্মদ সাব্বির খান, এনায়েত হোসেন। সাংগঠনিক সম্পাদক, কৃষিবিদ সাহাদাৎ হোসেন, মোঃ আমিনুর রহমান পল্টু ও মোঃ রিয়াজ মিনা। এ্যাড: শেখ গোলাম মাকসুদ, আইন বিষয়েক সম্পাদক।
জহির হাসান টিটো, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক। এ্যাড: শাহ নাজিম উদ্দিন, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক। মোঃ হায়দার হোসেন, ত্রান ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক। মোঃ রফিকুল বারী, দপ্তর সম্পাদক। মোঃ সফিক উজ্জামান সবুজ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক। এস এম মিরাজুল ইসলাম প্রচার ও প্রকাশণা সম্পাদক। এ্যাডঃ মোস্তাফিজুর রহমান বন ও পরিবেশ সম্পাদক। মোঃ আশিকুর রহমান রনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক। বিভা মন্ডল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক। মোঃ গুলজার হোসেন মোল্যা, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক। মোঃ কামরুজ্জামান মিয়া, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক। মোঃ পারভেজ আলম খন্দকার, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক।
মোঃ মিজানুর রহমান মৃধা, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক। পরিতোষ সরকার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক। নুরুল ইসলাম জুন্নু, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক। মোঃ আরিফুজ্জামান মোল্যা, সহ-দপ্তর সম্পাদক। শেখ রনি আহাম্মেদ, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। তোফায়েল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ। কানতারা খালেদা খানকে ১নং সদস্য করে মোট ৩৫ জনকে কার্যনির্বাহী সদস্য করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
নবগঠিত এ কমিটি নিয়ে উপজেলাব্যাপী মিশ্র প্রতিক্রিয়া শোনা যাচ্ছে। বিশেষ করে দেশের বিভিন্ন শহরে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও নতুন ৩২ জন কে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সমালোচনা শোনা যাচ্ছে। বিগত কমিটিতে যারা ছিলেন নবগঠিত কমিটিতে তারা আশানুরুপ পদ না পাওয়ায় অনেককে মনোক্ষুন্ন দেখা গেছে। অপর দিকে দলীয় কর্মকান্ড ইতিপূর্বে উল্লেখ যোগ্য কোন ভূমিকা না রেখে যারা সম্পাদক মন্ডলির সদস্য হয়েছেন এবং নির্বাহী সদস্য হয়েছেন তাদেরকে নিয়ে অনেকে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন।