রাজশাহীর বাঘায় আজিজুল আলম আসতুল (৫৭) এর মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বাবাকে খুনের দায়ভার স্বীকার করেছে নিহতের ছোট ছেলে তারেক রহমান সনি । মরদেহ উদ্ধারের পর নিহতের সন্দেহভাজন ছোট ছেলে তারেক রহমান সনিকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তার বাবাকে খুন করেছে বলে স্বীকার করে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার (১২ মে) উপজেলার চক আমোদপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুকুর পাড় থেকে আজিজুল আলম আসতুল এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে নিহতের ছোট ছেলে তারেক রহমান সনিকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ বিষয়ে নিহতের বড় ছেলে ফারুক হোসেন বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। আজিজুল আলম আসতুল উপজেলার চক আমোদপুর গ্রামের মৃত ইয়াকুব প্রামানিকের ছেলে।
ফারুক হোসেন জানান, ১৯৯৮ সালে তার মা পারুল বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করেন বাবা আজিজুল আলম আসতুল। হত্যার দায়ে বাবাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন আদালত। বছর দু’য়েক আগে সরকারের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় মুক্তি পেয়ে বাড়িতে আসেন। তারপর থেকে তিনি অস্বাভাবিক আচরন করতে থাকেন। তাকে শিকলবন্দী করে রাখা হতো। মাস খানেক আগে ঘরের জানালা ভেঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এরপর থেকে এলাকার গাছতলায় থাকতেন।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল ইসলাম জানান, মরদেহের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহৃ দেখে হত্যার সন্দেহ করা হয়। পরে নিহতের সন্দেহভাজন ছোট ছেলে তারেক রহমান সনিকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানায়,ঘটনার রাতে তার বাবা তাকে মারপিট করলে সে বাবাকেও খড়ি দিয়ে মুখে ও ঘাড়ে মারপিট করে। মারা যাওয়ার পর পুকুর পাড়ে মরদেহ ফেলে রেখে আসে। খুনের দায় স্বীকার করে তারেক রহমান সনি জানায়, তার বাবা কারামুক্ত হয়ে বাড়িতে আসার পর অস্বাভাবিক আচরনসহ তাকে মারপিট করতো। অন্যদিকে মাকে হত্যার পর সে (তারেক রহমান সনি) নিজেও স্বাভাবিক থাকতে পারেনি। ওসি জানান, নিহতের বড় ছেলে ফারুক হোসেন বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম
মুরসিদ, মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।