মাগুরা মোহাম্মদপুরে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প( বর্তমান পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক) এর গ্রাহকদের মাঝে ঋণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।খোঁজ নিয়ে জানা যায় দীঘা ইউনিয়নের চর কুমরুল সমিতির গ্রাহকের ঋণের পাস বই সমিতির দলনেতা কামরুজ্জামান এর নিকট শুকৌশলে গচ্ছিত রাখা, সমিতির দলনেতার মাধ্যমে ঋণ প্রস্তাব ও বিতরণ ফর্মে স্বাক্ষর গ্রহণ সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার চর কমরুল গ্রামের একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প (বর্তমান পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক) এর সদস্য আবু জাফর যার পাস বই নং (০৩), সদস্য কোড (৫৫৬৬ ৪২০০৫ ১০০৩), জানান তিনি ২২-৭-২০১৮ইং তারিখে ১০০০০ (দশ হাজার) টাকা এবং ০২-০৯-২০১৯ইং তারিখে ২০০০০ (বিশ হাজার) টাকা ঋণ গ্রহণ করেন এবং যথাসময়ে পরিশোধ করেন। পরবর্তীতে সমিতির দলনেতা কামরুজ্জামান তার ঋণের পাস বই সুকৌশলে নিয়ে নেন এবং দীর্ঘদিন নিজের কাছে আটকে রাখেন।
আবু জাফর আরও বলেন তার ঋণের পাস বই ব্যবহার করে সমিতির দলনেতা কামরুজ্জামান এবং সমিতির মাঠ সহকারী পলাশ কুমারের যোগ সাঁজে জালিয়াতির মাধ্যমে ২৫.০২.২০২১ ইং তারিখে ৫০,০০০(পঞ্চাশ হাজার) টাকা ঋণ উত্তোলন করে সমিতির দলনেতা কামরুজ্জামান ভোগ করছেন এবং ঋণ উত্তোলনের দুই বছর অতিবাহিত হলেও এখনো পরিশোধ করেননি।তিনি আরো জানান সমিতির জননেতা কামরুজ্জামান কে উক্ত ঋণ পরিশোধ করার ব্যাপারে বারবার তাগিদ দেওয়া হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না।
সমিতির অপর সদস্য পালল্লা গ্রামের গোলাম রব্বানী জানান, সমিতির অপর মাঠ সহকারী বিপুল কুমারের সাথে উক্ত ঝামেলা মীমাংসার ব্যাপারে কথা বললে বিপুল কুমার জানান কামরুজ্জামান ১৫ দিনের ভিতরে গরু বিক্রি করে উক্ত ঋণের টাকা পরিশোধ করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। পরবর্তীতে বিপুল কুমার কে উক্ত ঝামেলা মীমাংসার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান কামরুজ্জামান বলেছেন আবু জাফর ইউ এন ও মোহাম্মদপুরের নিকট অভিযোগ করেছে আমার বিরুদ্ধে আমি এখন মীমাংসা করব না।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক মোহাম্মদপুর শাখার ভারপ্রাপ্ত শাখা ব্যবস্থাপক হাসিনা রশিদ জানান অফিসিয়াল সকল প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পূর্ণ করে আবু জাফরের ঋণ অনুমোদন ও বিতরণ করা হয়েছে। তিনি সশরীরে শাখা অফিসে উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রে স্বাক্ষর করে ঋণের টাকার চেক গ্রহণ করেন। এখানে অনিয়মের কোন সুযোগ নাই।
সমিতির দীঘা ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাঠ সহকারী পলাশ কুমার বিশ্বাস জানান জনাব আবু জাফর শাখা অফিসে উপস্থিত হয়ে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে নিজ হাতে ঋণের টাকার চেক গ্রহণ করেন।কুমরুল সমিতির দলনেতা কামরুজ্জামান জানান তার বিরুদ্ধে সমিতির সদস্য আবু জাফরের করা অভিযোগ সম্পন্ন মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। পারিবারিক বিরোধের জেরে তার বিরুদ্ধে এ সকল অভিযোগ করছে বলে তিনি দাবি জানান।
সমিতির অপর মাঠ সহকারী ওবায়দুর রহমান উক্ত ঝামেলা মীমাংসা করার ব্যাপারে সাংবাদিকদেরকে আশ্বস্ত করে কয়েক দফার সময় ক্ষেপণ করেন এবং সংবাদ প্রচার না করার অনুরোধ করেন।এমতাবস্থায় অন্যের পাস বই ব্যবহার করে জালিয়াতের মাধ্যমে উত্তোলিত ঋণের টাকা পরিশোধ পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের ব্যবস্থা করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবি ভুক্তভোগী সমিতির সদস্য আবু জাফরের।