আজকের তারিখ : নভেম্বর ২৭, ২০২৪, ৯:৩৬ এ.এম || প্রকাশকাল : মে ২, ২০২৩, ৪:২৯ পি.এম
মাগুরায় জমি বিক্রয়ের বায়না নামার প্রলোভন দেখিয়ে জজ আদালতের গাড়ি চালকের প্রতারণা
মাগুরা সদর উপজেলার শিবরামপুর গ্রামে ২৫ শতক জমাজমির বিক্রয়ের বায়না নামা নিয়ে প্রতারণা করেছে মাগুরা জজ আদালতের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর গাড়ি চালক মোঃ আজিম হোসেন (মিন্টু)। রবিবার ৩০ এপ্রিল দুপুর ১২ টার সময় শিবরামপুর গ্রামের জে এল নং- এস এ ৯৮ ও আর এস ৭১ নং তফসিল বায়না নামা জমিতে গোবিন্দ চন্দ্র সাহা উপস্থিত হন।
গোবিন্দ চন্দ্র সাহা জানান সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ৩২ লাখ টাকার মধ্যে নগদে ৪ লাখ টাকা বায়না নামা করা হয় গত সোমবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে শিবরামপুর গ্রামের মৃত সামছুর রহমানের স্ত্রী মোছাঃ আকলিমা খাতুন ও ছেলে মোঃ জাকির হোসেন টিপু, মোঃ নাসির উদ্দিন, মোঃ নাজিম উদ্দিন লিমু, মোঃ আজিম হোসেন (মিন্টু) এদের প্রত্যেকের সম্মতিতে। যাহার জমির রেজিঃকৃত দলিল নং- ৫২৪২, ৬৯০২ এবং মালেক সেরেস্তায় ৬৫৪৮/৯ম-১ম/২০২১-২০২২ নং নামজারী কেসে পৃথক ১৪৪২ নং খতিয়ান ৪০ নং দলিল মূলে আরও ৬ শতক জমি মোট ২৫ শতক জমি বায়না নামা করা হয়। এরপর শত্রুজিৎপুর ইউনিয়নের মৃত অনাথ বন্ধু সাহার ছেলে অধ্যক্ষ গোবিন্দ চন্দ্র সাহাকে ২৫ শতক জমি, ৫ রুম সহ ঘর ও গাছগাছালি সহ ৪ লাখ টাকা বায়নানামা করে জমির দখল প্রদান করে আকলিমা খাতুন।
কিন্তু জমি বায়না নামার সময় ২৮ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য ৩ মাস সময় নেয় গোবিন্দ চন্দ্র সাহা কিন্তু ৩ মাস পর হওয়ার পর গোবিন্দ চন্দ্র সাহা বাকী ২৮ লাখ টাকা দিতে গেলে তারা বলে যে কয়েক শতক জমির নামপত্তন করতে হবে আমাদেরকে ২ মাস ৭ দিন দলিল লেখকদের মাধ্যমে সময় দিতে হবে। কিন্তু এর মধ্যে হঠাৎ করে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি চালক আজিম হোসেন মিন্টু প্রাণ নাশের হুমকি দেয় এজন্য নিরাপত্তার জন্য গোবিন্দ চন্দ্র সাহা বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার ৭ মার্চ ২০২৩ সালে মাগুরার বিজ্ঞ সদর আমলী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী ও চীফ মামলা ৪০৬, ৪২০ ও ৫০৬(২) ধারায়, অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গের সাজা, প্রতারণা ও সম্পত্তি অর্পণ করার জন্য অসাধুভাবে প্রবৃত্ত করা ও অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শনের সাজা মামলা দায়ের করে। তিনি প্রশাসনের কাছে নিজের জীবনের নিরাপত্তা এবং বায়না নামার জমি বিবাদী পক্ষ লিখে দেয় এটাই কামনা করেন।
তিনি আরও বলেন আজিম হোসেন মিন্টু জজ কোর্টের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের গাড়ি চালক বলে সে নিজেকে অনেক বড় মনে করে এবং হুকুম ধামকি দেয় আমাকে কেউ কিছু করতে পারবে না। এ ব্যাপারে গাড়ি চালক আজিম হোসেন মিন্টু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন জমির নাম পত্তনের জন্য আরও ১ লাখ টাকা দাবি করে ছিলাম। এই ২৫ শতক জমির মধ্যে নারায়ণ শিকদারের ছেলে রঞ্জনের কাছে থেকে ১৭ শতক, আলমের কাছে থেকে ৬ শতক ও খোকন ঠাকুরের বোনের স্বামীর কাছে থেকে ২ শতক জমি ক্রয় করা হয়। তার মধ্যে আলমের ৬ শতক জমির নামপত্তন এখনও করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন জাকির হোসেন টিপুর ছেলে সোহেলের জামিনের জন্য টাকার প্রয়োজন হয় এজন্য জমি বায়না নামা করার সময় আমরা কিছুই জানতাম না কিন্তু রেজিষ্ট্রি অফিসে গিয়ে জানতে পারলাম জমির নাম পত্তন করতে হবে। আমরা বলে ছিলাম জমির কাগজ পত্র ও নাম পত্তন চুড়ান্ত হওয়ার পর জমি দিয়ে দেবো। কিন্তু গোবিন্দ চন্দ্র সাহা মাস্টার আদালতে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এজন্য আমি তাকে জমি দিবো না তবে মহামান্য বিজ্ঞ আদালত আইনের মাধ্যমে যেটা বিচার করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও রায় দিবে সেটাই মেনে নিবো।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha