গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার ১৩ নং মোচনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন মোল্লার সীমাহীন দূর্ণীতি অর্থ আত্মসাত, সেচ্ছাচারিতা এবং বিধি - বিধান বহির্ভুত কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে পরিষদের ৬জন সদস্য মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সাধারণ সদস্যরা হলেন বাদশা মিয়া, নাসির উদ্দিন মোল্লা, জাহিদ হাসান জিহাদ, সাইফুল ইসলাম শেখ, মোঃ আজাদুর রহমান এবং সংরক্ষিত সদস্যা তাছলিমা আক্তার।তাদের লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করে বলেন এমদাদ হোসেন মোল্লা ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ সালের নির্বাচিত চেয়ারম্যানের শপথ গ্রহণের পরে মাত্র প্রথম কার্যদিবস ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে অফিসের দাপ্তরিক কাজ করেন। এরপর হইতে চেয়ারম্যান তাহার নিজ বাড়িতে অফিসের কার্যাবলী নিজ খেয়াল খুশিমত পরিচালনা করিয়া আসিতেছেন। ইউনিয়ন পরিষদ এবং পারিবারিক আদালত ও অন্যান্য দাপ্তরিক অফিস কক্ষ তালাবদ্ধ রাখেন।
ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার এবং দফাদার ও সচিবকে চেয়ারম্যানের নিজ বাড়িতে রাখিয়া চৌকিদার ও দফাদার দিয়ে তার পারিবারিক ও ব্যাক্তিগত কার্যাদি পরিচালনা করেন এবং সচিবকে চাপের মধ্যে রাখিয়া চেয়ারম্যানের নিজ বাড়ি ডুমুরিয়া গ্রামের ইউনিয়নের শেষ প্রান্তে পশ্চাৎ যোগাযোগের স্থানে দাপ্তরিক কাজ করে আসতেছেন।
নাগরিক সনদ, জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যু সনদ, ওয়ারিশ নামা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, পঙ্গু -প্রতিবন্ধী এবং গর্ভবতী ভাতার কার্যক্রম চেয়ারম্যানের নিজ বাড়িতে কার্যক্রম পরিচালনা করায়, ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সর্ব সাধারণের সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হয় এবং এসকল প্রতিটি কাজের উদ্দেশ্যে চেয়ারম্যান তার ভাবাপন্ন লোক দিয়ে অভিনব কায়দায় কাগজপত্রের জটিলতা সৃষ্টি করে ৫০০/১০০০ টাকা গোপনে এবং সদরে অধিক হারে ফি গ্রহণ করেন।
স্থানীয় সরকারের কাজ এবং প্রকল্প সমূহ বাস্তবায়নের ব্যাপারেও চেয়ারম্যান কতিপয় ইউ পি সদস্যের হাত করিয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং রেজুলেশন লিখিয়া আমাদের বাড়িতে লোক পাঠাইয়া মোবাইল ফোনে ফোন দিয়ে স্বাক্ষর করিতে বাধ্য করিয়াছেন।
এছাড়াও টিআর, কাবিখা, কাবিটা, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি, এল. জি. এস. পি, বিডব্লিউবি কর্মসূচিতে রয়েছে সীমাহীন দূর্ণীতি। এসকল কর্মসূচিতে চেয়ারম্যান এবং সচিবের ঘুষ বানিজ্য সহ বহু দূর্ণীতির অভিযোগ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুজিব শতবর্ষের উপহার ঘর প্রদানেও রয়েছে চেয়ারম্যানের অনিয়ম।
এছাড়াও অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, ঘুনসী কাওছার মোল্লার বাড়ি হইতে ডুমুরিয়া রাস্তা নির্মান প্রকল্প চেয়ারম্যান এমদাদ মোল্লা সি পি সিকে বাদ রেখে গোপনে নিজে স্বাক্ষর করে বরাদ্দের ১ম ও ২য় কিস্তির টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেছে। ২নং ওয়ার্ডের মিরাজ মুন্সি ও ৯ নং ওয়ার্ড পাইকদিয়া গ্রামের আছাদ মোল্লার বাড়ির এল,জি,এস,পির ৩য় পর্যায়ের গভীর নলকূপ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা চেয়ারম্যান ও সচিব আত্মসাত করেছে।
এব্যাপারে চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন মোল্লার ০১৭১৬৫৬০৪১৫ মোবাইল ফোন নম্বরে বার বার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এ বিষয়ে মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম ইমাম রাজী টুলু বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে আমি মোচনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সব ইউপি সদস্যদের ১২ এপ্রিল আমার কার্যালয়ে তদন্তের জন্য উভয় পক্ষের স্বাক্ষী প্রমানাদী সহ উপস্থিত হতে বলেছিলাম। তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha