বন্যা ২০২২-এ ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ অবকাঠামো পুনর্বাসন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন পণ্যের পরিবহন ব্যয় ও সময় কমানো হবে। বাজারজাতকরণ সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে গ্রামীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং গ্রামীণ অর্থনীতি সচল করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১২৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৯৩৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ঋণ দেবে এডিবি। বাকি ২২২ কোটি ৬০ লাখ ৬৫ হাজার টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে মেটানো হবে।
একনেক অনুমোদন দিলে প্রকল্পটি ৩টি বিভাগের ৯টি জেলার ৮৩টি উপজেলায় কার্যক্রম চালাবে। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে আগামী ২০২৬ সালের জুন নাগাদ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে- ৪০৫.৭৮ কিলোমিটার উপজেলা সড়ক পুনর্বাসন, ৩৪৬.১০ কিলোমিটার ইউনিয়ন সড়ক পুনর্বাসন, ২১৭১.০০ মিটার ব্রিজ পুনর্বাসন/পুনর্নিমাণ, ৮০৯.৮৪ মিটার কালভার্ট পুনর্বাসন/পুনর্নিমাণ, ১৫ লাখ ১ হাজার ৬০০টি বৃক্ষরোপণ, ৬২ হাজার ৬৮৭ মিটার প্রতিরক্ষা কাজ (টো-ওয়াল), ২২১৬০৭.১৩ বর্গমিটার ঢাল প্রতিরক্ষা কাজ।
প্রকল্পে গ্রামীণ সড়ককে দুর্যোগ সহনীয় ২ লেন সড়কে উন্নীতকরণ, সড়ক উন্নয়ন, সেতু নির্মাণ/পুনর্বাসন, ইউনিয়ন সড়কের ইন্টারসেকশন নিরাপদকরণ, গ্রোথ সেন্টার উন্নয়ন, বাজার উন্নয়নের কথা উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়া টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে টেকসই কৃষির প্রসার এবং অভীষ্ট অভিঘাতসহনশীল অবকাঠামো নির্মাণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই শিল্পায়নের কথাও উল্লেখ রয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন বলছে, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে যানবাহন চলাচল এবং পণ্য পরিবহন ও বাজারজাতকরণ সহজতর হবে। তা ছাড়া অবকাঠামো নির্মাণ কাজে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম
মুরসিদ, মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।