মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরে অবস্থিত কাজী সালিমা হক মহিলা কলেজ চত্বরের ১০/১২টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ কুমারেশ ছন্দ্র ও সভাপতি মিজানুর রহমান মিলন আইন অমান্য করে নিয়মবহির্ভূত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছায়া দানকারী মুল্যবান এই গাছগুলো কেটেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দরপত্র আহ্বান ছাড়াই গাছগুলো কিভাবে কাটা হচ্ছে এ ঘটনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাধারন শিক্ষক-কর্মচারি ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। নাম প্রকাশে ওই কলেজের একজন শিক্ষক বলেন, কলেজ রোজার ছুটি থাকার সুবাদে অধ্যক্ষ ও সভাপতি মিলে এই কাজ করেছেন। গাছগুলো কাটার পর কলেজ তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য্য হারিয়ে ফেলেছে। আজ বুধবার সকাল থেকে দুপুর প্রর্যন্তু ৫/৭জন শ্রমীক এই মুল্যবান গাছ কর্তন করেন।
জানা যায়, কাজী সালিমা হক মহিলা কলেজের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সৃষ্টিলগ্ন থেকে বিভিন্ন সময়ে চত্বরের বিভিন্ন স্থানে ছায়া দানকারি শতাধিক গাছ লাগানো হয় এর মধ্যে কিছু গাছ পরিপক্ক হলেও অধিকাংশ গাছ অপরিপক্ক। হঠাৎ করে টেন্ডার বা নিলাম ছাড়ায় এসব গাছ কর্তনে সচেতন মহলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তারা জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটতে হলে বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে অবহিত করে টেন্ডার বা নিলাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গাছ কাটতে হয়।
বুধবার দুপুরে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কলেজ জুড়ে বিভিন্ন স্থানে অর্ধবর্ষী বেশ কিছু গাছ শ্রমীক দিয়ে কেটে ফেলছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কর্মরত একজন শ্রমিক বলেন, তারা ৭০০ টাকা দিন হাজিরা চুক্তিতে গাছ কাটার কাজ করছেন।
এ বিষয়ে কাজী সালিমা হক কলেজের অধ্যক্ষ কুমারেশ চন্দ্র বলেন, প্রতিষ্ঠানে বেঞ্চ তৈরীর জন্য আমরা রেজুলেশন করে গাছ কেটেছি। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বীরেন শিকদার স্কুল এ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান মিলন বলেন, সকল প্রকার নিয়ম-কানুন মেনে কলেজের প্রয়জনে গাছ কেটেছি। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মালা রানী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনও রামানন্দ পাল বলেন, রেজুলেশন করে গাছ কাটার বিধান আছে কিনা জেনে দেখতে হবে। তবে বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha