নড়াইলে সরকারি ৩৯টি ল্যাপটপ ও বিপুল পরিমান চোরাই মালামালসহ ৬জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নড়াইল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে এক প্রেস বিফিং এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোছা সাদিরা খাতুন।
প্রেসব্রিফিং এ জানানো হয়, গত ২৬ জানুয়ারি স্বরসতী পূজাঁর দিন স্কুল বন্ধ থাকায় নড়াইলের লোহাগড়া থানার নলদী ইউনিয়নের বিএসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের গ্রিল কেটে সরকারের আইসিটি বিভাগ থেকে দেয়া ১৭ টি ল্যাপটপ ও ১৫টি চার্জার চুরি হয়ে যায়।
এঘটনায় প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন ( মামলা নং-২০)। অপরদিকে গত ১৬ মার্চ ২০২৩ সদরের তুলারামপুর মালিডাংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ১টি ল্যাপটর, ১টি প্রজেক্টর, ১টি প্রিন্টার, ১টি সাউন্ড বক্স, ১২টি বিআরবি সিলিং ফ্যান, ফিঙ্গার প্রিন্টার এবং ১৭ মার্চ সদরের চাকই পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২টি ল্যাপটপ, ১টি প্রজেক্টর ও নগদ ১০ হাজার টাকা এবং একই দিনে সদরের হবখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ১২ টি বিআরবি সিলিং ফ্যান চুরি যায়।
এ সব চুরির ঘটনায় সংশ্লিল্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগন বাদি হয়ে নড়াইল সদর থানায় দায়ের করেন।
পরবর্তীতে জেলা পুলিশের সকল বিভাগের তৎপরতায় গোয়েন্দা পুলিশ ২১ মার্চ একটি সিমের সুত্র ধরে সিম ব্যাবহার কারী গোপালগঞ্জের মকসেদপুর থানার মোঃ শহিদুল তার সহযোগী রিজু সরদার সনাক্ত করে নড়াইল পৌর এলাকার ভওয়াখালী থেকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা চুরি কথা স্বীকার করে। পরে তাদের তথ্য মত বিভিন্ন জায়গায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ২২ শে মার্চ অভিযান চালিয়ে চোরাইকৃত ৩৯টি ল্যাপটপ, ল্যাপটপের চার্জার ১৪টি, সিলিং ফ্যান ৭২টি, প্রজেক্টর ৪টি, প্রিন্টার ৩টি, স্ক্যানার ১টি, মিনি সাউন্ড বক্স ১৬টি, কম্পিউটার বক্স ২টি, কিবোর্ড ৩টি ও মাউচ ২টি উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় মোঃ শহিদুল ইসলাম (৩০), রিজু সরদার (১৮), মোঃ সোহবান মোল্যা (৩৮), মতিউর রহমান মোল্যা (৩৫), মোঃ আরমান মোল্যা (২০) সহ নেপাল দাস (৩০) কে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুপার মোছা সাদিরা খাতুন এর সভাপতিত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ দোলন মিয়া,সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ওবায়দুর রহমান,জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি মোঃ সাজেদুল ইসলাম,, জেলা পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তা,বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেটট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক কর্মি সহ সংশ্লিষ্টরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।