আধ্যাত্মিক সাধক ফকির লালন শাহ। তিনি সংগীতের মাধ্যমে সারাবিশ্বে মানবধর্ম প্রচার করে গেছেন। মৃত্যুর ১৩৩ বছর পরেও তিনি আগের মতোই প্রাসঙ্গিক। তার মৌখিকভাবে লেখা গান আজ সারাবিশ্বে পরিচিত।
সেই গানগুলোকে রক্ষণাবেক্ষণ করার লক্ষ্যে খাতায় লিপিবদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তারই শিষ্য ভোলা সাঁই, মনিরউদ্দিন সাঁই এবং পন্ডিত মানিক। তবে এসব খাতা বা পান্ডুলিপ কোনো কিছুই ছিল না কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ার লালন একাডেমিতে।
ফকির লালন শাহের মৃত্যুর ১৩৩ বছর পরে পাওয়া গেল লালন গানের পান্ডুলিপির অনুলিপি। এটি লেখা শুরু হয়েছিল ১২৯৯ সালে। শেষ হয় ১৩১২ সালে। লালন ফকির মানবতার যে বৃষ্টি ঝরিয়েছিলেন, তার আধ্যাত্মিক বাণী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে রীতিমতো ভিজেছিল।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজ ঘরে রেখেছিলেন খাতাটি। তিনি নিজেও ব্যবহার করেছেন। এবার লালন স্মরণোৎসবের দ্বিতীয়দিন পান্ডুলিপিটির একটি অনুলিপি কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকের নিকট হস্তান্তর করেন কলকাতার বিশিষ্ট লেখক শক্তিনাথ ঝাঁ।
লালন শাহের অন্তর নিহিত বাণীগুলো লিপিবদ্ধ করতেন তার ভক্তরা। পরে এগুলো রূপ নিতো দেহতত্ত্ব, প্রভুর সঙ্গে মিলনের আকুতি মিশ্রিত পরমবাণীতে। তৎকালীন শিলাইদহের জমিদার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একটি খাতা নিয়ে যান আশ্রম থেকে। এ পান্ডুলিপি উদ্ধারের অনেক চেষ্টা করেছিলেন লালন গবেষক প্রয়াত মনিরুজ্জামানসহ লালন একাডেমি।
আশা করা হচ্ছে, প্রচলিত লালন গানের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অজানা আরো লালন বাণীর সন্ধান পাওয়া যাবে এ খাতায়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম
মুরসিদ, মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।