পাবনার ঈশ্বরদীতে রিকশাচালক মামুন হোসেনকে গুলি করে হত্যা মামলার অন্যতম আসামী ঘটনার সময় পিস্তল দিয়ে গুলি করা আনোয়ার উদ্দিন সহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে ও বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারী) ভোরে আলাদা অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তবে যে পিস্তল দিয়ে মামুনকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন আনোয়ার, সেই অস্ত্রটি এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ঈশ্বরদী পৌরসভার শৈলপাড়া বারো কোয়ার্টার মহল্লার মৃত নুর উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার উদ্দিন (৪২) এবং একই এলাকার ইব্রাহিম হোসেন (২৬)।
আনোয়ার উদ্দিন পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং একই ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিনের ছোট ভাই এবং মামলার এজাহার নামীয় দুই নাম্বার আসামী। আর ইব্রাহিম চার নাম্বার আসামী।
এ নিয়ে মামলার এজাহার নামীয় মোট ৪ আসামীকেই গ্রেপ্তার করা হলো।এর আগে গত শুক্রবার (০৬ জানুয়ারী) পৌর শহরের শৈলপাড়া এলাকা থেকে মামলার এক নম্বর আসামি কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা কামাল উদ্দিন এবং ভাতিজা হৃদয় হোসেনকে গ্রেফতার করে র্যাব।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঈশ্বরদীর আরমবাড়িয়া এলাকা থেকে বুধবার দুপুরে প্রথমে আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আলাদা অভিযানে বৃহস্পতিবার ভোরে কুষ্টিয়া থেকে ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, গ্রেপ্তারের পর আনোয়ারকে আদালতে হাজির করে তিনদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের হেফাজতে রেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কিছু তথ্য পাওয়া গেছে, সেগুলো যাচাই বাছাই চলছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (০৪ জানুয়ারী) রাতে তুচ্ছ ঘটনায় কথা কাটাকাটির জেরে রিকশাচালক মামুন হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার সময় পিস্তল বের করে মামুনকে গুলি করেন আনোয়ার। এ ঘটনায় আহত রকি ও সুমন নামের আরও দু’জন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় নিহত মামুনের মা লিপি আক্তার বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার (০৫ জানুয়ারী) মধ্যরাতে চারজনকে নামীয় ও আরও ৩/৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামী করে মামলা করেন।