ফরিদপুরে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে হামলা এবং বোমা ও গুলি বর্ষণের ঘটনায় বিএনপির ৩১ নেতাকর্মীর নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো অর্ধশতকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার এসআই মোঃ মাহাবুল করিম বাদি হয়ে আজ বৃহস্পতিবার এ মামলা দায়ের করেন। এদের মধ্যে ৬ জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়। মামলায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসা, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এএফএম কাইয়ুম জঙ্গি, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ.কে. কিবরিয়া স্বপন, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান, জুলফিকার হোসেন জুয়েল, গোলাম মোস্তফা মিরাজ, এমটি আক্তার টুটুল, খন্দকার ফজলুল হক টুলু, মিজানুর রহমান মিনান, পলাশ, জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহিদ, মহানগর যুবদলের সভাপতি বেনজীর আহম্মেদ তাবরীজ, খায়রুল ইসলাম সবুজ, মোঃ কায়েশ, ভিপি ইউসুফ, ভিপি সেলিম, মামুনুর রশিদ, নাছির উদ্দিন মিলার, গোলাম রব্বানী রতন, ভিপি রেজা, ইশতিয়াকুর রশীদ ইশতি, জহিরুল ইসলাম জহির, বিটু শেখ, খান মামুনকে আসামী করা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে বেআইনী জনতাবদ্ধে পরস্পর যোগসাজস ও সহায়তায় পুলিশের উপর ককটেল বোমা হামলা করে ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশের সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান, স্বেচ্ছাকৃতভাবে পুলিশের উপর আঘাত করে গুরুতর ও সাধারণ জখম করার অপরাধে পেনাল কোডের ১৪৩/১৮৬/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/৩৪ ধারা তৎসহ বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ১৯০৮ এর ৩/৪/৬ ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগে এই মামলায় মোঃ কামাল মিয়া, সাজ্জাদ হোসেন সেজান, রাজীব হোসেন তাওহীদ ইসলাম রাকিজ, মোঃ তরিকুল ইসলাম ও মাসুদ রানা নামে ৬ জনকে আটক করে।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সহ বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারের জুলুম, নির্যাতন এবং ভুয়া ও গায়েবি মামলার প্রতিবাদে সারা দেশে মহানগর বিএনপি’র আহুত প্রতিবাদ সভার কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ফরিদপুর মহানগর বিএনপির নেতৃত্বে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে সম্পূর্ণ সমাবেশে এ হামলা হয়। আওয়ামী লীগ, ছাত্র লীগ ও যুবলীগ নিজেরা মাথায় পুলিশের মতো হেলমেট পরে বেপরোয়াভাবে ইট, পাটকেল, লাঠিসোটা ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে সভায় অতর্কিতভাবে হামলা চালায় বলে ফরিদপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এএফএম কাইয়ুম জঙ্গি ও সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ জানান।