ঢাকা , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo দৌলতপুরে সরকারী জলমহালের দখলদারদের হামলা ও গুলি, আহত ৬ Logo আলফাডাঙ্গায় ঘোড় দৌড়ে হাজারো মানুষ Logo নাটোরের বাগাতিপাড়ায় মোহন নামক এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা Logo নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বড়াল নদীতে মৎস শিকারে, শিকারীদের মহা উৎসব Logo প্রমত্তা গড়াই নদীতে শুষ্ক মৌসুমে পানি শূন্য ! Logo সংস্কারের অভাবে ভাঙা সেতু দিয়ে চলছে যানবাহন Logo দৌলতপুরে অস্ত্র মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার Logo আগামীকালের পর থেকে যদি কারো ঘরে দেশীয় অস্ত্র পাওয়া যায়, তার অবস্থা হবে ভয়াবহঃ -সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান শাকিল Logo ফরিদপুর সদর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত, আহত ৫ Logo সমাজসেবার বিশেষ অবদানে সম্মাননা স্মারক পেলেন দৌলতদিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান রহমান মন্ডল
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সহকারী শিক্ষীকার মামলায় প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার  

সহকারী শিক্ষিকার দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলায় গ্রেফতার হলেন একই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং বাদির স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কাদিরদী গ্রামে। মামলার বাদি পপি খানম কাদিরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি একই জেলার মধুখালি উপজেলার মহিষাপুর গ্রামের আবুল কাশেম খানের মেয়ে।
মামলার আসামী খন্দকার মাহাবুবুর রহমান (৪৩) একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং বাদি পপি খানমের স্বামী। মাহাবুবুর-পপি দম্পতির তাহমিদ (৬) ও তায়হান (২) নামে দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
জানা যায়, চলতি বছরে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্ত্রী পপি খানম একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর – ৩১২/২২ এর অধীনে ১১ (গ) ধারায়।
ওই মামলায় শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) রাতে স্বামী খন্দকার মাহাবুবুর রহমানকে গ্রেফতার করে বোয়ালমারী থানা পুলিশ। শনিবার দুপুরে আসামিকে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে মামলার বাদি পপি খানম বলেন, আমাদের বিয়ে হয় ২০১৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী। বিয়ের পর থেকেই আমার স্বামী আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। এজন্য ২০১৯ সালে একবার মামলা করি। তখন জেলা শিক্ষা অফিসার স্যারের মধ্যস্থতায় ওই বছরই মামলা তুলে নেই। কিন্তু নির্যাতন বন্ধ না হওয়ায় পরে ২০২২ সালের জুলাই মাসে পুনরায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে মামলা করি।
পরে আদালত বিষয়টির তদন্তভার বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট পাঠালে তিনি (ইউএনও) বিষয়টির মীমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু আমার স্বামীর নাছোড়বান্দা মনোভাবের কারণে ইউএনও স্যার তদন্ত প্রতিবেদন দিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইন চার্জ মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় তাকে গ্রেফতার করে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দৌলতপুরে সরকারী জলমহালের দখলদারদের হামলা ও গুলি, আহত ৬

error: Content is protected !!

সহকারী শিক্ষীকার মামলায় প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার  

আপডেট টাইম : ০১:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২
সহকারী শিক্ষিকার দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলায় গ্রেফতার হলেন একই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং বাদির স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কাদিরদী গ্রামে। মামলার বাদি পপি খানম কাদিরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি একই জেলার মধুখালি উপজেলার মহিষাপুর গ্রামের আবুল কাশেম খানের মেয়ে।
মামলার আসামী খন্দকার মাহাবুবুর রহমান (৪৩) একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং বাদি পপি খানমের স্বামী। মাহাবুবুর-পপি দম্পতির তাহমিদ (৬) ও তায়হান (২) নামে দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
জানা যায়, চলতি বছরে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্ত্রী পপি খানম একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর – ৩১২/২২ এর অধীনে ১১ (গ) ধারায়।
ওই মামলায় শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) রাতে স্বামী খন্দকার মাহাবুবুর রহমানকে গ্রেফতার করে বোয়ালমারী থানা পুলিশ। শনিবার দুপুরে আসামিকে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে মামলার বাদি পপি খানম বলেন, আমাদের বিয়ে হয় ২০১৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী। বিয়ের পর থেকেই আমার স্বামী আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। এজন্য ২০১৯ সালে একবার মামলা করি। তখন জেলা শিক্ষা অফিসার স্যারের মধ্যস্থতায় ওই বছরই মামলা তুলে নেই। কিন্তু নির্যাতন বন্ধ না হওয়ায় পরে ২০২২ সালের জুলাই মাসে পুনরায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে মামলা করি।
পরে আদালত বিষয়টির তদন্তভার বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট পাঠালে তিনি (ইউএনও) বিষয়টির মীমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু আমার স্বামীর নাছোড়বান্দা মনোভাবের কারণে ইউএনও স্যার তদন্ত প্রতিবেদন দিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইন চার্জ মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় তাকে গ্রেফতার করে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।