ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে বালু ব্যাবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে বালু ব্যাবসায়ী মোঃ কাউছার খান(৪১)কে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে।২৬ নভেম্বর শনিবার বেলা ১০টার দিকে উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের জাকেরেরশুরা ভাঙ্গার মাথা এলাকায় পদ্মানদীর পাড়ে পানিউন্নয়ন বোর্ডের ড্রেজিংকরা বালুর স্তুপের উপর মৃতদেহটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী।

পরে চরভদ্রাসন থানা পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তেরজন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখমুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেয়।ধারনা করা হচ্ছে শুক্রবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় তাকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওই বালুব্যবসায়ী সদর ইউনিয়নের এমকে ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা মতৃ জালাল খানের মেঝ ছেলে। চারভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।তিন মাটি টানার ট্রলি ও কাঠের ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন।

কাওসার শেখবিবাহিত। তার স্ত্রীর নাম শারমিন আক্তার।তার কথামনি (৮) ও লাবিবা (৬) নামে দুইটি মেয়ে আছে।

এ ব্যাপারে চর হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের আট নম্বর ওয়ার্ডের ইউপিসদস্য কুদ্দুস মন্ডল জানান, সকাল ১০টার দিকে ওই গ্রামের কয়েকজন নারী পদ্মানদীতে পানিআনতে গেলে কাওসারের মৃতদেহটি বালুর স্তুপের উপর পড়ে থাকতে দেখেন। পরে ওই নারীরা বিষয়টি তাকেজানালে তিনি চরভদ্রাসন থানায় খবর দেন। পরে বেলা ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ফরিদপুর পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান পিপিএম(সেবা),অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার,চরভদ্রাসন থানা অফিসার ইনচার্জ মিন্টু মন্ডল ও পিবিআই এর সদস্যবৃন্দ।

মৃতের ভাই লিয়াকত খান (২৭)জানান,গত শুক্রবার দুপুরে খাবার খেয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান কাওসার। রাত নয়টার দিকে তিনি বাড়িতে না ফেরায় কাওসারের মুঠোফোনে ফোন দেওয়াহলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিত ব্যাক্তিদের সাথে যোগাযোগ করাহলে কাওসারের কোন খবর জানা যায়নি। কাওসার রাতে বাড়িতে ফিরে আসবে ভেবে সারারাত ঘরের দরজা খোলা রাখা হয়। কিন্তু সারারাতে তিনি ফিরে আসেননি। সকালে তার মৃতদেহ উদ্ধারকরা হয়।

লাশ উদ্ধারের বিষয়ে ফরিদপুর পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান(পিপিএম সেবা)বলেন এখানে একটা লাশ পাওয়া গেছে আমরা তার পরিচয় সনাক্ত করতে পেরেছি।ঘটনাস্থলে তার পরিবারের লোকজন আসছে।আপাত দৃষ্টিতে দেখে মনে হচ্ছে এটা একটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।লাশ সুরতহালের পর এই হত্যাকান্ডের সাথে কারা জরিত আছে তা খুজে বের করে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।আমাদের তদন্ত চলছে আশা করি খুব শীঘ্রই এই হত্যাকান্ডের সাথে জরিতদের চিহ্নিত করতে পারব।

এ ব্যাপারে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে বালু ব্যাবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

আপডেট টাইম : ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২২

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে বালু ব্যাবসায়ী মোঃ কাউছার খান(৪১)কে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে।২৬ নভেম্বর শনিবার বেলা ১০টার দিকে উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের জাকেরেরশুরা ভাঙ্গার মাথা এলাকায় পদ্মানদীর পাড়ে পানিউন্নয়ন বোর্ডের ড্রেজিংকরা বালুর স্তুপের উপর মৃতদেহটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী।

পরে চরভদ্রাসন থানা পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তেরজন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখমুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেয়।ধারনা করা হচ্ছে শুক্রবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় তাকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওই বালুব্যবসায়ী সদর ইউনিয়নের এমকে ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা মতৃ জালাল খানের মেঝ ছেলে। চারভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।তিন মাটি টানার ট্রলি ও কাঠের ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন।

কাওসার শেখবিবাহিত। তার স্ত্রীর নাম শারমিন আক্তার।তার কথামনি (৮) ও লাবিবা (৬) নামে দুইটি মেয়ে আছে।

এ ব্যাপারে চর হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের আট নম্বর ওয়ার্ডের ইউপিসদস্য কুদ্দুস মন্ডল জানান, সকাল ১০টার দিকে ওই গ্রামের কয়েকজন নারী পদ্মানদীতে পানিআনতে গেলে কাওসারের মৃতদেহটি বালুর স্তুপের উপর পড়ে থাকতে দেখেন। পরে ওই নারীরা বিষয়টি তাকেজানালে তিনি চরভদ্রাসন থানায় খবর দেন। পরে বেলা ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ফরিদপুর পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান পিপিএম(সেবা),অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার,চরভদ্রাসন থানা অফিসার ইনচার্জ মিন্টু মন্ডল ও পিবিআই এর সদস্যবৃন্দ।

মৃতের ভাই লিয়াকত খান (২৭)জানান,গত শুক্রবার দুপুরে খাবার খেয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান কাওসার। রাত নয়টার দিকে তিনি বাড়িতে না ফেরায় কাওসারের মুঠোফোনে ফোন দেওয়াহলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিত ব্যাক্তিদের সাথে যোগাযোগ করাহলে কাওসারের কোন খবর জানা যায়নি। কাওসার রাতে বাড়িতে ফিরে আসবে ভেবে সারারাত ঘরের দরজা খোলা রাখা হয়। কিন্তু সারারাতে তিনি ফিরে আসেননি। সকালে তার মৃতদেহ উদ্ধারকরা হয়।

লাশ উদ্ধারের বিষয়ে ফরিদপুর পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান(পিপিএম সেবা)বলেন এখানে একটা লাশ পাওয়া গেছে আমরা তার পরিচয় সনাক্ত করতে পেরেছি।ঘটনাস্থলে তার পরিবারের লোকজন আসছে।আপাত দৃষ্টিতে দেখে মনে হচ্ছে এটা একটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।লাশ সুরতহালের পর এই হত্যাকান্ডের সাথে কারা জরিত আছে তা খুজে বের করে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।আমাদের তদন্ত চলছে আশা করি খুব শীঘ্রই এই হত্যাকান্ডের সাথে জরিতদের চিহ্নিত করতে পারব।

এ ব্যাপারে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।