পাবনার বেড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আমিনপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বাবুর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে।
অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার কাশিনাথপুর ফুলবাগান মোড়ে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়। আমিনপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউসুফ আলী খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল ওহাব।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, রেজাউল হক বাবু একজন সৎ ও চরিত্রবান নেতা। কোন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যকলাপ তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। তার মতো এই রকম নেতাকে কিছু কুচক্রী মহল একজন দুষ্ট প্রকৃতির নারীকে দিয়ে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। তার মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে উন্নয়নের পাশাপাশি বেড়া ও আমিনপুর আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ করেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করেছেন। এজন্যই একটি চক্র তার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
তারা আরও বলেন, আর কোন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে কালিমা লেপন করতে দেয়া হবে না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করা হবে। আমিনপুর ও বেড়ার জনগণ রেজাউল হক বাবুর সঙ্গে আছেন এবং থাকবেন। কোনও ষড়যন্ত্রে তিনি পিছুপা হবেন না।
প্রতিবাদ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, সুজানগরের দুলাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম শাহজাহান, আমিনপুর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ এম রফিকুল্লাহ, সাগরকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরী, থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির চৌধুরী, সুষমা রাণী সাহা, রুপপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মোল্লা, মাসুমদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল হক শহীদ, আহাম্মদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুর রহমান, আহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন মিয়া প্রমুখ।
এর আগে বুধবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউল্লাহর আদালতে আঙ্গুরী খাতুন নামে এক নারী তার মেয়েকে ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা করেন রেজাউল হক বাবুর বিরুদ্ধে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ২৯ ডিসেম্বর পিবিআইকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, মোতাহার, জুনাত সরদার ও বুক্কা।গত ১৫ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী তরুণী আত্মহত্যা করেন।