কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনের জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ৫৭ কেজি ওজনের দুটি পোয়া মাছ। মঙ্গলবার সকালে সেন্টমার্টিন উপকূলে জেলে আবদুল গণির জালে পোয়া মাছ দুটি ধরা পড়ে। পরে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দ্বীপে মাছ দুটির দাম তিন লাখ টাকা হাঁকান। জেলেরা জানান, সোমবার রাতে দ্বীপের বাসিন্দা জেলে আবদুল গণির নেতৃত্বে পাঁচ জেলে বঙ্গোপসাগরের মাছ শিকারে যান। মঙ্গলবার ভোরে দ্বীপে পশ্চিম পাড়াস্থল সাগরে জাল তুললে দুটি বড় পোয়া মাছ পাওয়া যায়। মাছ দুটি নিয়ে দ্বীপের জেটি ঘাটে ফিরে আসার পর উৎসুক মানুষের ভিড় জমে যায়।
টেকনাফ বোট মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল জলিল জানান, সেন্টমার্টিনের জেলেদের জালে ধরা পড়া ৫৭ কেজি ওজনের পোয়া মাছ দুটি বেশি দামে বিক্রির জন্য কক্সবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দ্বীপের ইউপি সদস্য ফয়েজুল ইসলাম জানান, জেলে আবদুল গণির জালে দুটি বড় পোয়া মাছ ধরা পড়েছে। মাছ দুটির দাম স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীরা ৩ লাখ টাকায় হাঁকান। কিন্তু বিক্রি না করে মাছ দুটি বেশি দামে বিক্রির উদ্দেশে কক্সবাজার নিয়ে যান জেলে। তিনি আরও জানান, জেলে গণির জালে এর আগে ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর ৩৪ কেজি ওজনের একটি পোয়া মাছ ধরা পড়ে। পরে সেটি বিক্রি করেন ১০ লাখ টাকায়। ২০২০ এর নভেম্বর মাসে এসে আবারো গণির জালে একটি পোয়া মাছ আটকা পড়ে, যা বিক্রি হয় ৬ লাখ টাকায়।এবার ৮ নভেম্বরে জোড়া পোয়া মাছ ধরা পড়ল তার জালে।দাম হাঁকা হাঁকি চলছে ! ৩ লাখ টাকা উঠেছে মাছ ২ টির দাম। আরো বাড়তে পারে !
টেকনাফ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, পোয়া মাছের পেটের ভেতর ‘পদনা’ নামে বিশেষ অংশ থাকে। স্থানীয় ভাষায় এটাকে ‘ফুলা’ বলে, যা ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এই ‘পদনা’ শুকিয়ে ওষুধের কাঁচামাল হিসেবে বিদেশে উচ্চমূল্যে বিক্রি করা হয়। ফলে পোয়া মাছের দাম ও চাহিদা বেশি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha