বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শুক্রবার ২৮অক্টোবর প্রথমদিনে ডিগ্রি পরীক্ষার পাংশা সরকারি কলেজ কেন্দ্রে মো. শাকিল হোসেন (২২) নামের ১জন প্রক্সি পরীক্ষার্থীকে ১বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫শত টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত প্রক্সি পরীক্ষার্থী শাকিল হোসেন পাংশা উপজেলার সরিষা ইউপির বেজপাড়া গ্রামের সোহরাব উদ্দিনের ছেলে। সে স্থানীয় একটি কলেজের এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। শাকিল হোসেন তার বন্ধু সজীব হোসেনের স্থলে (পরীক্ষার্থীর আইডি নং ২০০২৩০৫৩১১০) পাংশা সরকারী কলেজের ২০৫ নং কক্ষে প্রক্সি পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষার কক্ষ পরিদর্শকরা পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র যাচাই করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে সে।
জানা যায়, শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে ডিগ্রি প্রথমবর্ষের বাংলা-১(১৩০১) পরীক্ষা শুরু হয়। সকাল ১০টার দিকে কেন্দ্রের ২০৫ নং কক্ষে কক্ষ পরিদর্শক হাজ্জাজ মুন্সী পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র যাচাই করার সময় প্রক্সি পরীক্ষার্থী শাকিল হোসেনকে হাতেনাতে ধরেন এবং বিষয়টি কেন্দ্র সচিব ও পাংশা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হোসনেয়ারা খাতুনকে অবহিত করেন। তাৎক্ষণিকভাবে অধ্যক্ষ হোসনেয়ারা খাতুন আইনী প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা করেন।
এসময় পাংশার এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমান রুবেল প্রক্সি পরীক্ষার্থী শাকিল হোসেনকে পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন ১৯৮০ এর ৩(খ) ধারায় ১বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫শত টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। জরিমানার ৫শত টাকা তাৎক্ষণিকভাবে আদায় করা হয় এবং আসামী শাকিল হোসেনকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত মামলা নং ২০০, তারিখ ২৮/১০/২০২২। পাংশা মডেল থানা পুলিশ ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগিতা করে।
|
পাংশা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হোসনেয়ারা খাতুন বলেন, সরকারি নিয়ম মেনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কেউ অসদুপায় অবলম্বন করলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে কক্ষ পরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম
মুরসিদ, মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।