এদিকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের ব্যাপারে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মো. আলমগীর মিয়া বলেন, "ফরিদপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী একজন সম্মানী ব্যক্তি ও আওয়ালীগের একজন প্রবীণ নেতা ছিলেন। আর তাইতো তাঁর পরিবারের সম্মানার্থে আমি আমার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছি। এর বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি।"
ফরিদপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনে মোট ০৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যার মধ্যে ০৪ জন বৈধ প্রার্থী হিসেবে তালিকায় থাকেন এবং ০২ জনের তথ্যের গড়মিল থাকায় যাঁচাই-বাছাইয়ে প্রার্থিতা বাতিল করা হয়।
গত বুধবার (১২ অক্টোবর) মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ৪ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ও দুইজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করে জেলা নির্বাচন অফিস।
যাঁচাই-বাছাই শেষে বৈধভাবে মনোনীত প্রার্থীগণ হলেন- শাহাদাব আকবার লাবু চৌধুরী (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ), মো. জয়নুল আবেদীন বকুল মিয়া (বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন), মো: আলমগীর মিয়া (জাতীয় পার্টি), জামাল হোসেন মিয়া (স্বতন্ত্র)।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন-মো. কামরুজ্জামান (স্বতন্ত্র), সমর্থন সূচক স্বাক্ষর যুক্ত তালিকায় তথ্যের গড়মিল থাকায় বাতিল হয় তাঁর মনোনয়নপত্র। মো. আবদুল কাদের (স্বতন্ত্র) সমর্থন সূচক স্বাক্ষর যুক্ত তালিকায় তথ্যের গড়মিল থাকায় তাঁর মনোনয়নও বাতিল করা হয়।
পরে, ১৯ অক্টোবর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জামাল হোসেন মিয়া ও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মো. আলমগীর মিয়া মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।
ফরিদপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, এই নির্বাচন ইভিএময়ের মাধ্যমে হবে। ফরিদপর-২ সংসদীয় আসনের মোট ৩ লাখ ১৮ হাজার ৪৭৯ জন ভোটার তাদের ভোট প্রয়োগ করবেন ।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৯ অক্টোবর এবং ভোটগ্রহণ আগামী ৫ই নভেম্বর।খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন।