মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী ইউপির ধুলজোড়া চুড়ারগাতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪টি পদে অর্ধকোটি টাকা নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক শ্রীকান্ত বিশ্বাস ও সভাপতি রসকান্ত বিশ্বাস যোগসাজশ করে ঘুষ নেওয়া প্রার্থীদের চাকুরী দিতে নানা কৌশল অবলম্বন করেন।

এলাকাবাসী ও বিভিন্ন আবেদনের সূত্র থেকে জানাযায়, এর অংশ হিসাবে দরখাস্তে ত্রুটির কথা বলে ঐ ইউনিয়নের ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি নাঈমের ভাই মাসুদসহ কয়েকজনের দরখাস্ত বাতিল করেন।নাঈম তারা ভায়ের চাকুরীর জন্য ঐ বিদ্যালয়ের সভাপতি রসকান্ত বিশ্বাসের কথা মত চুক্তিকৃত ১০লক্ষ টাকার মধ্যে  ৭ লক্ষ টাকা জমি,ছাগল,গরু ও ফ্রীজের শো-রুম বিক্রি করে প্রধান শিক্ষক শ্রীকান্তকে দেয় বলে জানান,তিনি আরো বলেন,অন্য লোকের কাছ থেকে বেশি টাকা পেয়ে আমার ভায়ের আবেদনটি বাতিল করে দিয়েছে।

এরপর গত ২৭/০৮/২২ তারিখে নিয়োগ পরীক্ষার দিন ধার্য্য করে একদিন আগে পাতানো কয়জনকে রাতের অন্ধকারে দেওয়া হয় প্রবেশপত্র।এবিষয়টি ২৭/০৮/২২ ইং তারিখের দৈনিক সমাজের কথা পত্রিকায় ও সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুষ দেওয়া প্রার্থীদের নামসহ সংবাদ প্রকাশ হলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে এবং নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে জন্য ৬ পরীক্ষার্থীর জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বন্ধ হয়ে যায় ঐ দিনের নিয়োগ পরীক্ষা।

এত কিছুর পরও ঐ ৪ জনকে নিয়োগ দিতে গত সেপ্টেম্বর মাসের ১৬ তারিখে আবারও নিয়োগ পরীক্ষার দিন ধার্য্য করা হয়, ১৫ তারিখে এই নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধের জন্য ঐ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের কয়েকজন  সদস্য  জেলা প্রশাসকের নিকট নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধের জন্য একটি দরখাস্ত দিলেও তাতে কোন কর্ণপাত করেনি প্রধান শিক্ষক শ্রীকান্ত ও সভাপতি রসকান্ত, তারা ঘুষ নেওয়া সেই ৪ জনকেই পাতানো  নিয়োগ কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়।এ বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং তারা  ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

তারা এ অবৈধ নিয়োগ বাতিল চেয়ে গত ০৪/১০/২২ইং তারিখে জেলা প্রশাসক মাগুরা বরাবর এবং ঐ একই তারিখে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাগুরা বরাবর আবেদন করেছেন।এ ছাড়াও গত ০৬/১০/২২ ইং তারিখে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং আজ ১০/১০/২২ ইং তারিখ সোমবার চেয়ারম্যান মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোর বরাবর আরো একটি আবেদন অবৈধ নিয়োগ বাতিল চেয়ে করেছেন।

এ বিষয়ে ঐ সকল দরখাস্তে আবেদনকারী ও সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এবং বর্তমান ছাত্র অভিভাবক আকশারচর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে মোঃ ইব্রাহিম খলীল বলেন,প্রধান শিক্ষক শ্রীকান্তের ভয়ে এলাকার লোকজন ও তার শিক্ষক স্টাফের কেউ মুখ খুলতে পারেনা,তিনি বিভিন্ন সময় নানা ধারণের অনিয়ম ও দূর্নীতি করলেও তার কোন বিচার হয় না,৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে একজনের কাছ থেকে ১০লক্ষ ১৫লক্ষ করে টাকা নিলে,তাদের এ টাকা গুলো উঠাতে কত বছর লাগবে? এ টাকা তারা কখনও উঠাতে পারবে না।

আরও পড়ুনঃ চীনা রাষ্ট্রদূতের তিস্তা ব্যারাজ পরিদর্শন

তিনি আরো বলেন আমরা চাই এটার একটা সঠিক বিচার,যাতে এটা দেখে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে কেউ যেনো গরীবের রক্তচুষে দেশ বিদেশে বাড়ী,গাড়ী ও টাকার পাহাড় গড়তে না পারে, এ নিয়োগ বাতিল করে কোন ঘুষ বাণিজ্য ছাড়াই একটি সচ্ছ নিয়োগ আমরা এলাকাবাসী দাবী করি,যাতে করে যে সকল গরীব মানুষ এতে চাকুরী করবে, তাদের ভিটা,বাড়ী বিক্রি করে যেন এ চাকিরী না হয়। এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক শ্রীকান্ত বিশ্বাস নিজেকে দাবী করেন।

এ বিষয়ে মাগুরা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জনাব মোঃ আলমগীর কবির বলেন,আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে আমরা এটা আমলে নিয়েছি,এবিষয়ে আমাদের যতটুকু করণীয় আছে আমরা তদন্তপূর্বক সে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।