সাফ শিরোপাজয়ী নারী ফুটবলার নিলুফা ইয়াসমিন নীলা এখন নিজ জেলা কুষ্টিয়াতে। কুষ্টিয়ার মেয়ে নিলুফা ইয়াসমিন নিলা বাড়ি ফিরতেই পেলেন ফুলেল ভালোবাসায় জাঁকজমক সংবর্ধনা ।
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে নেপালের কাঠমুন্ডুতে অনুষ্ঠিত সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ জয়ের পর এই প্রথম তিনি আসলেন কুষ্টিয়াতে। তাই নানা আয়োজনে কুষ্টিয়া জেলায় দেশের এই কৃতি ফুটবলারকে বরন করে নিয়েছে সর্বস্তরের মানুষ। শনিবার (১ অক্টোবর) বেলা ১২টায় কুমারখালী উপজেলার মীর মোশাররফ সেতু থেকে জেলা ক্রিড়া সংন্থার পক্ষ থেকে বরন করে নেয়া হয় তাকে।
এরপর জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে জেলা প্রশাসন ও ক্রিড়া সংস্থার আয়োজনে সংবর্ধনা দেয়া হয় কুষ্টিয়ার এই কৃতী ফুটবলারকে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার খাইরুল আলম, জেলা ক্রিড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক ও সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী, অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মোসাদ্দেক আলী মনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদাত উল আনাম পলাশ, নির্বাহী সদস্য এসএম কাদেরী সবু, মিঠু, আফরোজা আক্তার ডিউ, স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সহ কুষ্টিয়ার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
সংর্বধনা শেষে জেলা প্রশাসনের গাড়ীতে কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ডে নিজ বাড়ীতে পৌছে দেয়া হয় সাফ শিরোপা জয়ী নারী ফুটবলার নিলুফা ইয়াসমিন নীলকে।
নানা প্রতিকুলতা অতিক্রম করে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা বিজয়ী দলের খেলোয়াড় নিলুফার ইয়াসমিন নীলা এখন কুষ্টিয়াবাসীর গর্ব ও অহংকার।
ক্রীড়াঙ্গনে সাফল্য দেখানো অন্যান্যদের তালিকায় নারী খেলোয়াড় নিলার সাফল্য অর্জনের পাশাপাশি তিনি মুখ উজ্জল করেছেন কুষ্টিয়াবাসীর।
কুষ্টিয়ার মাটিতে দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠা এবং সামাজিক কুসংস্কার-প্রতিবন্ধকতা ডিঙ্গিয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি ফুটবলে তিনি এখন সফল নারী খেলোয়াড় হিসেবে দেশব্যাপী পরিচিতি।
নিলুফা ইয়াসমিন নিলা বলেন, আমি এই কুষ্টিয়ার মেয়ে। আমার আজকে সবচেয়ে আনন্দের দিন। আমার জন্য এত মানুষ অপেক্ষা করছে। আমি গর্বিত। দেশের সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আরও ভালো কিছু করতে সবার সাপোর্ট চাই।আমি সামনে আরও এগিয়ে যেতে চাই। বিশ্বকাপ আমরা জয় করতে চাই।
তিনি আরো বলেন,যখন আমি প্রথম ফুটবল খেলা শুরু করেছিলাম, তখন এলাকার অনেকে বাধা সৃষ্টি করেছিল। আমাদের সমাজের পুরুষেরা চায় মেয়েরা একটু পিছিয়ে থাক। পরিবর্তন শুরু হয়েছে। সামনে আমাদের আরও ভালো করতে হবে। হাফ প্যান্ট পরে মেয়েরা ফুটবল খেলছে বলে গ্রামের মানুষেরা কটূক্তি করেছে। এতেও আমরা থেমে থাকিনি। স্কুল পর্যায়ে খেলার সময় স্যারেরা অনেক সাপোর্ট করেছেন। এখন সবাই উৎসাহ দিচ্ছে। আমরা চাই গ্রামের নারী ফুটবলাররা যেন গ্রামে খেলার সুযোগ পায়।
উদ্যমী ও সাহসী এই নারী ফুটবলারের সাফল্যে আনন্দে ভাসছে তার পরিবার ও এলাকাবাসী।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম
মুরসিদ (লিটু সিকদার)। মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৯৩৯৪৪৫