সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি মো: রেজাউল হাসান বলেছেন, যারা সুপ্রিম কোর্টে বসে আছেন তারাই শুধু বিচারপতি নন, আপনারা যারা বিভিন্ন পদমর্যাদায় রয়েছেন তারাও একেকজন বিচারক। প্রত্যেকেরই কর্তব্য রয়েছে সুবিচার করার। ন্যায়বিচারের দ্বায়িত্ব পরিবার-কর্মস্থল সবখানেই রয়েছে। আপনি কি অন্যের প্রতি সুবিচার করছেন এটি চিন্তা করতে হবে। একটি সুন্দর সমাজ গড়তে হলে সমাজের সবক্ষেত্রেই সুবিচার নিশ্চিত করতে হবে।
সোমবার দুপুরে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি মো: রেজাউল হাসান একথা বলেন।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ মো: আকবর আলী শেখ ও পুলিশ সুপার মো: শাহজাহান।
এসময় যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ মো: নাসিরুদ্দিন, বিশেষ জজ মো: মতিউর রহমান, চীফ জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট মো: আব্দুল হামিদ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন ফরিদপুরের সরকারী সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো: শাহজাহান, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক নাগরিক বার্তা পত্রিকার সম্পাদক মো: কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী প্রমুখ।
বিচারপতি মো: রেজাউল হাসান বলেন, প্রতিটি মানুষের উচিত অপরের সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত করা। অন্যকে সম্মান দিলে নিজেরও সম্মান পাওয়া যায়। আর একজন মর্যাদাবান মানুষের পক্ষে কখনো ক্ষতিকর কিছু করা সম্ভব না। যদি কখনো কোন সম্মানী ব্যক্তি খারাপ কিছু করেনও তাহলে সেটি তার ব্যক্তিজীবনই নয় বরং জাতীয় জীবনেও এর খুবই নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
তাই মানুষের সম্মান এবং মর্যাদা প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এটি পারস্পরিক দেয়া নেয়ার বিষয়। একটি সুশিক্ষিত জাতি ছাড়া আমরা কিছুই আশা করতে পারিনা। শিক্ষা বলতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরেও অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রতিও জোর দিতে হবে। পরস্পর সম্মান, শ্রদ্ধা, আদব শিখতে হবে।
সভায় জেলা জজশীপের বিচারক, সরকারী কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, এনজিও প্রতিনিধি ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।