ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় নাকের পলিপাস অপারেশন করতে গিয়ে রুহুল আমিন (৩০) নামের এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মো. মারুফ শাহরিয়ার নামে এক চিকিৎসক এ অপারেশন করতে গিয়ে রোগীর এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বলে মৃত্যু রোগীর স্বজনদের অভিযোগ ।
এঘটনার পর থেকে মরদেহ ফেলে রেখে ক্লিনিকটি বন্ধ করে ক্লিনিকটির মালিকসহ চিকিৎসক পালিয়ে গিয়েছে। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে ফরিদপুরের ভাঙ্গার দেশ ক্লিনিক নামের একটি ক্লিনিক এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম।
পলিপাসের অপারেশনে মৃত্যু হওয়া রুহুল আমিন উপজেলার ত্রিপাগদী এলাকার আব্দুর রব মাতুব্বরের ছেলে। পলিপাসে রোগীর মৃত্যুর খবরে রোগীর স্বজনরা ক্লিনিকের সামনে বিক্ষোভ করে।
নিহতের বোন জামাই নাঈম মোল্লা বলেন, মো. মারুফ শাহরিয়ার নামের এক চিকিৎসক ভাঙ্গা সদরে অবস্থিত দেশ ক্লিনিক নামের একটি ক্লিনিকে প্রতি শুক্রবারে অপারেশন করেন। পরে শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রুহুল আমিনকে নিয়ে নাকের পলিপাসের অপারেশন করাতে যায় তার স্বজনরা। পরে চিকিৎসক আজ ভোরে তার নাকের অপারেশন করতে নিয়ে যায়। অপারেশন শেষ হলেও তারা আমাদের সাথে কোন প্রকার কথা বলেনি। আমরা রোগীর খোজ নিতে গেলে রুহুল মৃত। তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে খুঁজতে গেলে কাউকে পাইনি। সকালে আমরা হাসপাতালের সামনে লাশ নিতে ভির করলে নার্স সহ সকলেই লাশ ফলে ক্লিনিক বন্ধ করে পালিয়েছে। তারা আমার ভাইকে মেরে সবাই পালিয়েছে।
এব্যাপারে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহসিন উদ্দিন ফকির বলেন, ঘটনাটি মৌখিকভাবে আমি শুনেছি। তবে, রোগীর স্বজনদের পক্ষ থেকে কেউ আমাকে মৌখিক কিংবা লিখিত কোনো অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ফরিদপুরের সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, নাকের পলিপাস অপারেশন করতে গিয়ে রুহুল আমিন নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে এমন খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ক্লিনিকটি বন্ধ পাই। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে রোগীর স্বজনকে থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।