আজকের তারিখ : এপ্রিল ১১, ২০২৫, ৬:৫২ এ.এম || প্রকাশকাল : জানুয়ারী ২৬, ২০২১, ৬:৪১ পি.এম
নড়াইলে ক্লিনিক মালিক ও ডাক্তারের নামে মামলা, সিভিল সার্জন কে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ আদালতের

নড়াইলের একটি ক্লিনিকে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে অপারশন করা,চিকিৎিসকের গাফিলতিতে প্রসূতি মায়ের জীবন সংকটাপন্ন হওয়ার অভিযােগে আদালতে মামলা হয়েছে। নড়াইল সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা.মাে.আকরাম হােসেন সহ ইমন ক্লিনিকের মালিক মাে.সারােয়ার হােসেন ও তার স্ত্রী শিল্পী বেগমের নামে মামলা দায়ের করেন ভূক্তভােগী প্রসূতি ঝুমা বেগমের স্বামী মাহফুজ নুর রিপন।
২৫ জানুয়ারী নড়াইল সদর নালিশী আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। নালিশী আদালতের বিচারক সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল মাের্শেদা আগামী ২৫ ফব্রুয়ারী সিভিল সার্জনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলেছেন।
মামলায় বলা হয়,২৪ ডিসেম্বর ইমন ক্লিনিক সিজার অপারেশন করাতে যান সন্তান সম্ভাবা মা ঝুমা বেগম। অপারেশন করেন সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা.মাে. আকরাম হােসেন।
ঐ অপারেশনে নিম্নমানের সূতা এবং সামগ্রী ব্যবহার করায় রােগীর তলপেট ফেটে রক্ত বের হয়ে জরায়ূ এবং প্রস্রাবের নালীতে পচন ধরে।অবস্থা খারাপ হলে খুলনায় নিয়ে ২য় দফা অপারেশন করে জরায়ু কেটে ফেলা হয়। এই ভুল চিকিৎসায় চিকিৎসক ও ক্লিনিক মালিকরা যুক্ত।
নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার এবং চিকিৎসকের গাফিলতির ফলে ৪ লক্ষ টাকা খরচ সহ স্ত্রীর জীবন বিপন্ন হওয়ায় আদালতের কাছে উপযুক্ত শাস্তি দাবী করেছেন মামলার বাদী মাহফুজ নুর রিপন। মামলার স্বাক্ষী হিসেবে খুলনার গাইনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা.শামছুনাহার লাকী,নড়াইল সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা.সুব্রত কুমার বাগচী সহ ৫ জনকে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ইমন সার্জিক্যাল ক্লিনিকের মালিক মাে.সরােয়ার হােসেন ও তার স্ত্রী শিল্পী বেগম বলেন,আমাদের ক্লিনিকে আমরা যথাযথভাবে চেষ্টা করি রােগী সুস্থ করার জন্য। এখান থেকে চলে গিয়ে রােগীরা অসচেতনভাবে অনেক কাজ করে যাতে তাদের অন্য কােন সমস্যা তৈরী হতে পারে এতে আমাদের কােন দায় নেই।
মামলার অপর আসামী সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা.মাে.আকরাম হােসেন বলেন,আমি তাে অপারেশন ভালােভাবেই করলাম,ঘটনাতাে অনেকদিন পরের,এরপর তারা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ছে,খুলনায় চিকিৎসা নিয়ছে,কােথা থেকে কি হয়েছে আমি বুঝতে পারলাম না।
এদিকে জেলায় সদ্য যােগদান কারী সিভিল সার্জন ডা.নাসিমা আকতারের সাথে এ ব্যাপারে কথা বললে তিনি জানান,এ বিষয়ে আমি তেমন কিছুই জানিনা।আমি ছুটিতে আছি, বুধবার(২৭ জানুয়ারী) নড়াইলে জয়েন করে এ ব্যাপারে কথা বলতে পারবাে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম
মুরসিদ, মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
Copyright © August 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha