পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, উপজেলার কাজলি গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নান মোল্যা ও হোগলডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল হাই পবন মল্লিকের সাথে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই সূত্রধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার সময় হান্নান ও পবন গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র, ঢাল, সড়কি, টেটা, রামদা, ছ্যানদা ও লাঠি নিয়ে মোল্যা মতিয়ার রহমানের বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার উপর এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সংঘর্ষে পবন গ্রুপের রাশিদুল, এনামুল, আতর, হাপান ও উকিল মোল্যাসহ বেশ কয়েকজন মারাত্বক আহত হন।
গুরুতর আহত রাশেদ মোল্লাকে চিকিৎসার জন্য মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পবন গ্রুপের লোকজন প্রতিপক্ষ হান্নান গ্রুপের রফিকুল ইসলাম ফেরো, জামির মীর, হারুর মীর ও ফিরোজ মীরের বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘরে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। সংবাদ পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহতের স্ত্রী আসমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী রাশিদুল মোল্যা কাজলি বাজার থেকে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে পথিমধ্যে হান্নান মোল্যা, ফেরো, ঠান্ডু, ওবাইদুল, নান্নু, মোকাম, ইমরোজ, রিপন ও কবিরসহ বেশ কয়েকজন তাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। আমি এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। কাজলী গ্রামে বসবাসরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোপন সূত্রে জানা যায়, রাশেদ মোল্লাকে কুপিয়ে জখম করে, ঠান্ডু মুন্সি (৪৫), নান্নু মুন্সি (৪৮), ইমরুল মুন্সি (২৪) উভয় পিং- নওশের মুন্সি সাং- কাজলী, এছাড়াও পাশ্ববর্তী কাবিলপুর গ্রামের ফের বিশ্বাস (৬৫), ইকাম (৫০), মুকাম (৪৫) ও ওবায়দুল সহ বেশ কিছু লোকজন।