১৯ জানুয়ারী রাতে আ.লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সরদার আলমগীর হোসেন সহ ৬০ জনের নামে মামলা করেছে আ.লীগ প্রার্থী আনজুমান আরা। এ ঘটনায় পুলিশ ৬ জনকে আটক করেছে।
এদিকে মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারী)গভীর রাতে আওয়ামীলীগ এর দুটি নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সরদার আলমগীরের প্রচারনার বহরে হামলা করে দুই সমর্থককে কুপিয়েছে এমন অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার(১৯জানুয়ারী) রাত ৮টার দিকে দূর্গাপুর মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়,পৌর এলাকার দূর্গাপুর থেকে সরদার আলমগীরের একটি প্রচারনা টিম দূর্গাপুর মোড়ে পৌঁছালে অতর্কিত হামলা চালিয়ে আলমগীরের দুই সমর্থক হালিম চৌধুরী(২৫)ও সজীব(২২) কে কুপিয়ে জখম করে।
আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সরদার আলমগীর অভিযোগ করে বলেন,নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা আমাদের উপর হামলা চালিয়ে দুজনকে জখম করে উল্টা আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। নিজেরা অফিস পুড়িয়ে আমাদের ঘাড়ে চাপাতে চাচ্ছে।
আ.লীগের প্রার্থী আঞ্জুমান আরা বলেন, মঙ্গলবার রাতে আলমের লোকরা আমাদের কর্মীদের উপর হামলা করেছে,রাতে আমাদের দুটি অফিসে আগুন দিয়েছে,সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে তারা নির্বাচন প্রতিহত করতে চায়,এগুলো এখনই দমানো না গেলে নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে।
নড়াইল সদর থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন পিপিএম বলেন,মঙ্গলবার রাতে দুই পক্ষের হামলার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছ, বুধবার বিকাল পর্যন্ত ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। নির্বাচনী মাঠ পুলিশ সক্রিয় আছে।
৩য় ধাপে ৩০ জানুয়ারী নড়াইল পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ,বিএনপি,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ছাড়াও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে।