কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও কুষ্টিয়ার খামারিরা লালন-পালন করেছে গরুসহ বিভিন্ন ধরনের কোরবানির পশু। তবে এবারের কোরবানির হাটে ক্রেতাদের নজর কাড়তে পারে তুফান, টাইগার, বাহাদুর ও মানিকসহ বিভিন্ন নামে পালন করা গরু।
গত দুই বছরের করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় প্রায় চার হাজার খামারি এবার লালন-পালন করেছে বিভিন্ন জাতের গরু। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কুষ্টিয়ার গরুর সবসময়ই বাড়তি চাহিদা থাকে। তাই কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এবারও কুষ্টিয়ার খামারিরা প্রস্তুতি নিয়েছেন। তারা প্রস্তুত করেছে তুফান, টাইগার, বাহাদুর ও মানিকসহ বিভিন্ন নামের গরু।
নামের সাথে পালন করা এসব গরুর মিলও রয়েছে। এসব গরুর ওজন ১৬শ’ থেকে ১৮শ’ কেজি বা ৪০ থেকে ৪৫ মণ।
আরও পড়ুনঃ ফরিদপুর প্রেসক্লাবের বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
বাড়তি লাভের আশায় এদের কাউকে ঢাকা, কাউকে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নেওয়া হতে পারে। তবে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে গরু আমদানি হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে খামারিদের মাঝে।
কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামের খামারি সাইফুল ইসলাম দাবি করেন, এই উপজেলায় তার পালন করা টাইগার ও তুফানই সবচেয়ে বড় গরু।
তিনি জানান, তিন বছর আগে তার নিজ খামারেই জন্ম হয় টাইগার ও তুফানের। জন্মের পর থেকেই তাদেরকে কোনো ক্ষতিকর ওষুধ ছাড়াই দেশীয় খাবার খাইয়ে লালন-পালন করেছেন। টাইগার ও তুফানকে দেখতে বিভিন্ন এলাকার মানুষ প্রতিদিনই ভিড় করে। ক্রেতারাও আসছেন। সাইফুল ইসলাম তার গরু দু’টির দাম হেকেছেন ৩২ লাখ টাকা।
তিনি আরো জানান,একই সময় ৩টি গরু কিনে লালন-পালন শুরু করি। প্রতিদিন দুই বেলা প্রায় ১০ কেজি করে খাবার খায় ১টি গরু। এরমধ্যে রয়েছে গমের ভুসি, ধানের কুঁড়া, ভুট্টা, শুকনো খড় ও কাঁচা ঘাস। এ ছাড়া মাঝে মধ্যে খুদও খায়। কোনো ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয়নি। তবে প্রাণিসম্পদ অফিসের পরামর্শ নিয়েছি। এবারে কোরবানির বাজারে ছোট-বড় মিলিয়ে ৩টি পশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
উপজেলার আরেক খামারি স্বরণ আহমেদ অনেকটা সখের বসেই বাহাদুর নামের একটি দেশীয় গরু পালন করে এলাকাবাসীকে তাক লাগিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ ফরিদপুরে হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
স্বরণ আহমেদ লেখাপড়ার পাশাপাশি সখ করে বাহাদুরকে লালন-পালন করেছেন। তিনি এবারের ঈদে বাহাদুরকে বিক্রি করতে চান। বিশাল দেহের বাহাদুরের ওজন প্রায় ১২শ’ কেজি হবে। স্বরণের দাবি, এ বছর উপজেলার দেশী জাতের কোরবানির গরুর মধ্যে তার বাহাদুরই সেরা।
কুমারখালী উপজেলায় এ বছর ৩ হাজার ৭৬৭টি খামারে ২৫ হাজার ৬৯৯টি গরু লালন-পালন করেছেন খামারিরা। যার অর্ধেক স্থানীয় চাহিদা মিটাবে, বাকিটা দেশের চাহিদা পূরণ করবে।
কুমারখালী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুরে আলম সিদ্দিকী জানান, পশু পালনে প্রাণী সম্পদ বিভাগ থেকে খামারিদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয়। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে খামারিদের পালন করা পশু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে বলে জানান তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha